কানপুরে বিক্ষোভ চলাকালীন বন্দুক হাতে পুলিশের এই ছবি সামনে এসেছিল।
যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময়ে গুলি চালানোর কথা শেষপর্যন্ত মেনে নিল পুলিশ। শুক্রবার বিজনৌরে তাদের গুলিতে সুলেমান নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। সুলেমানের পরিবারের দাবি, তিনি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গে বিক্ষোভের কোনও সম্পর্ক ছিল না।
উত্তরপ্রদেশে বিক্ষোভের সময়ে গুলিতে নিহত অনেকে। কানপুরে পুলিশ অফিসারের গুলি চালানোর ভিডিয়োও ভাইরাল হয়েছিল। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি ও পি সিংহ শনিবারও দাবি করেন, পুলিশ কোথাও গুলি চালায়নি। বরং বিক্ষোভকারীরাই গুলি চালাচ্ছে। তাতে পুলিশকর্মী-সহ অনেকে হতাহত হন।
শুক্রবার নমাজের পরে গোলমাল শুরু হয় বিজনৌরে। এ দিন সেখানকার পুলিশ সুপার সঞ্জীব ত্যাগী বলেন, ‘‘আমাদের এক কনস্টেবলের বন্দুক ছিনিয়ে নিয়েছিল কয়েক জন বিক্ষোভকারী। তিনি তাদের কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় তাঁকে লক্ষ্য করে এক বিক্ষোভকারী গুলি চালায়। পাল্টা গুলিতে সুলেমান নামে ওই বিক্ষোভকারী নিহত হয়। বিক্ষোভকারীদেরই গুলিতে আনিস নামে আর এক জন বিক্ষোভকারীও নিহত হয়।’’
সুলেমানের পরিবারের অবশ্য দাবি, বছর কুড়ির ওই যুবক সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গে বিক্ষোভের কোনও সম্পর্ক ছিল না। সুলেমানের ভাই শোয়েব মালিক বলেন, ‘‘ভাই কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছিল। সে দিন নমাজ পড়তে বাড়ির কাছের মসজিদে না গিয়ে ও অন্য একটি মসজিদে গিয়েছিল। মসজিদ থেকে
বেরোনোর পরেই গোলমালের মধ্যে পড়ে যায়।’’ শোয়েবের দাবি, ‘‘পুলিশ সুলেমানকে তুলে নিয়ে গিয়ে গুলি করে খুন করেছে।’’ রবিবার বিজনৌরে গিয়ে সুলেমান ও আনিসের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা।
অন্য দিকে উত্তরপ্রদেশেরই রামপুরে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময়ে হিংসায় যুক্তদের মধ্যে সমাজবাদী নেতা আজম খানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী পারভেজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই রামপুরে হিংসায় অভিযুক্ত ১৫০ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন আজম খানের গাড়িচালক ও ঘনিষ্ঠ সহযোগী পারভেজ। প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী, রামপুরে হিংসায় ১৫ লক্ষ টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, যারা হিংসার সঙ্গে যুক্ত ছিল তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেই ওই ক্ষতিপূরণ করা হবে।