Joe Biden

বাইডেনের পরিবেশ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

চটজলদি জলবায়ু পরিবর্তন রোখার জন্য বাইডেন কিছু ব্যবস্থা গ্রহণের পক্ষপাতী।

Advertisement
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২১ ০৬:২৪
Share:

ফাইল চিত্র।

হোয়াইট হাউসে বসার পরই জো বাইডেন জানিয়ে দিয়েছিলেন, বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন এবং উষ্ণায়নের বিষয়টিকে তাঁরা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এগোবেন। সেই কথার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আগামী ২২ এবং ২৩ তারিখ আমেরিকার প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে বসতে চলেছে পরিবেশ বিষয়ক একটি মহাসম্মেলন। ভিডিয়ো মাধ্যমে ৪০টি দেশের এই সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে ভারতও। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানিয়েছেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণও গ্রহণ করেছেন।

Advertisement

কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, চটজলদি জলবায়ু পরিবর্তন রোখার জন্য বাইডেন কিছু ব্যবস্থা গ্রহণের পক্ষপাতী। আসন্ন সম্মেলনটিতে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ কমানোর একটি পথনির্দেশিকা তিনি পেশ করবেন আমেরিকার তরফ থেকে। এই সম্মেলনে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন শক্তি এবং পরিবেশ সংক্রান্ত প্রধান রাষ্ট্রগুলির একটি পৃথক আলোচনাও হবে। ওই ১৭টি দেশ বিশ্বের মোট ৮০ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ করে থাকে।

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই মহাবৈঠকের আগে, আগামী সোমবার তিন দিনের সফরে দিল্লি আসছেন আমেরিকার পরিবেশ সংক্রান্ত বিশেষ দূত জন কেরি। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের কথায়, “আমরা আশা করছি কেরি তাঁর সফরে অনেকের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বিদেশমন্ত্রী ছাড়াও তাঁর দেখা করার কথা রয়েছে অর্থমন্ত্রী, পরিবেশমন্ত্রী, শক্তিমন্ত্রীদের সঙ্গে।”

Advertisement

কার্বন নিঃসরণ ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্যে নিয়ে যেতে ভারতের উপর আমেরিকার চাপ বরাবরই থেকেছে। সূত্রের মতে, ট্রাম্পের বদলে বাইডেন এলে সেই চাপ বাড়বে বই কমবে না। এ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, ২০৫০-এর চেয়ে আরও বছর কুড়ি কম সময়ের মধ্যে গোটা বিশ্বে যাতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা যায়, সে জন্য বেশ ঢাকঢোল পিটিয়েই আসরে নামতে চলেছে বাইডেন প্রশাসন। ভারতের অবস্থান কিন্তু একই রয়েছে। সাউথ ব্লকের বক্তব্য, পরিসংখ্যানে ভারত কার্বন নিঃসরণকারী দেশ হিসেবে আমেরিকা ও চিনের পরে তিন নম্বর স্থানে রয়েছে বটে, কিন্তু আসলে আমেরিকা ও চিনের সঙ্গে তার কোনও তুলনাই হয় না। ১৮৫০ থেকে ২০১১ সাল অবধি বায়ুমণ্ডলে কার্বন নিঃসরণের মাত্র ৩ শতাংশের জন্য দায়ী ভারত। এবং, মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণে আমেরিকার অবদান ভারতের ৮ গুণ। চিনের ক্ষেত্রে সেই মাত্রা ভারতের ৪ গুণ। ভারত দরিদ্র দেশ, উন্নয়নের দ্রুত গতি বজায় রাখতে হলে আপাতত তাকে বাড়তি নিঃসরণ নিয়েই চলতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement