প্রতীকী চিত্র।
ধর্ম পরিচয় লুকিয়ে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের এক হিন্দু মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন এক মুসলিম যুবক। বিয়ের ক’দিন পরে আসল ধর্ম পরিচয় প্রকাশিত হওয়ায় স্ত্রী-কে জোর করে ধর্মান্তরণের অভিযোগ উঠল ওই যুবকের বিরুদ্ধে। সোমবার উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর পুলিশের তরফ থেকে এই অভিযোগের কথা জানানো হয়েছে।
মইনুদ্দিন নামে ওই যুবক নিজের নাম ভাঁড়িয়ে গত বছর মহিলার সঙ্গে আলাপ করেন। নিজের পরিচয় দেন মুন্না যাদব হিসেবে। পুলিশের অভিযোগে এমনই জানিয়েছেন অভিযুক্তের স্ত্রী। তারপর তাদের মধ্যে একরকম সম্পর্ক তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত সন্ত কবীরনগরের একটি মন্দিরে তারা বিয়ে করেন। তারপর একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন, জানিয়েছে পুলিশ।
কয়েকদিন পর অভিযুক্ত নিজের আসল নাম ও ধর্ম পরিচয় প্রকাশ করেন। অভিযুক্তের স্ত্রীয়ের অভিযোগ, তারপর থেকে ক্রমাগত ধর্মান্তরণের জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হয়।
শনিবার অভিযুক্তের স্ত্রী জানতে পারেন, স্বামীর আবারও বিয়ে হচ্ছে। সেই সময়ে তিনি পুলিশে ফোন করেন, এবং পুরো পরিস্থিতির কথা জানান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের ধর্মান্তরণ বিরোধী আইনেও মামলা রুজু করা হয়। রবিবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।