Bulldozer

রোগীর স্যালাইনে মুসম্বির রস! উত্তরপ্রদেশের হাসপাতালকে ‘বুলডোজ়ার’ নোটিস পাঠাল প্রশাসন

প্রশাসনের দাবি, হাসপাতালটি সম্পূর্ণ বিনা অনুমতিতে তৈরি হয়েছে। এ বছরের গোড়ায় সংশ্লিষ্ট দফতর এ ব্যাপারে হাসপাতালকে নোটিসও পাঠায়। কিন্তু তার জবাব দেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২২ ১০:১৬
Share:

মুসম্বি-কাণ্ডের জেরেই বুলডোজ়ার নোটিস! ফাইল ছবি।

ডেঙ্গি রোগীকে রক্তের প্লেটলেটের বদলে স্যালাইনে মুসম্বির রস দিয়ে শিরোনামে আসা উত্তরপ্রদেশের বেসরকারি হাসপাতালে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ। বুলডোজ়ার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে, প্রয়াগরাজের ‘গ্লোবাল হসপিটাল অ্যান্ড ট্রমা সেন্টার’কে হুঁশিয়ারি দিয়ে নোটিস পাঠাল প্রশাসন।

Advertisement

হাসপাতালটি প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই তৈরি করা হয়েছে তাই শুক্রবারের মধ্যে সম্পূর্ণ এলাকা ফাঁকা করে দিতে হবে, লেখা রয়েছে নোটিসে। মুসম্বি-কাণ্ডের পরই অবশ্য হাসপাতালটি সিল করে দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে সেখানে কোনও রোগী ভর্তি নেই। নোটিসে আরও লেখা হয়েছে, এ বছরের গোড়ায় এই সংক্রান্ত নোটিসের কোনও জবাব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেননি, তাই এ বার বুলডো়জ়ার চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

৩২ বছরের এক ডেঙ্গু রোগীর পরিবারের অভিযোগ ছিল, রক্তের প্লেটলেটের বদলে মুসম্বির রস স্যালাইনে ভরে দেওয়া হয়েছিল। অথচ মুসম্বি ভরা ব্যাগের উপরে লেখা ছিল ‘প্লাজমা’! ওই রস শরীরে যাওয়ার পরই রোগীর অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে বলে পরিবারের অভিযোগ। তড়িঘড়ি অন্য একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় রোগীকে। কিন্তু সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবারের দাবি, অন্য হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁদের জানিয়েছেন, গ্লোবাল হাসপাতালে রক্তের প্লেটলেটের বদলে রোগীর শরীরে দেওয়া হয়েছিল কিছু রাসায়নিক মিশ্রিত মিষ্টি মুসম্বির রস।

Advertisement

এ দিকে রক্তের প্লেটলেটের ব্যাগে সত্যিই মুসম্বির রস ভরা ছিল কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হলেও সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসেনি। মৃতের পরিবারের তরফে গ্লোবাল হাসপাতালে সেই সময় কর্মরতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও আর্জি জানানো হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, ওই ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুর পর দিন প্রয়াগরাজের পুলিশ একটি চক্রের ১০ জনকে গ্রেফতার করে। যারা নকল প্লেটলেট সরবরাহের কারবারের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, এই চক্রটি ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করে তাকেই প্লেটলেট বলে সরবরাহ করত বিভিন্ন জায়গায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement