—প্রতীকী চিত্র।
কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল দুই যুবকের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের পর অচৈতন্য অবস্থায় থাকা ওই কিশোরীকে তাঁরা গাড়ির চাকার নীচে ছুড়ে ফেলে দেন বলে অভিযোগ। কিশোরীর হাত এবং পা বেঁধে তাকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ তাকে উদ্ধার করেছে।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের বরেলীর ফরিদপুর গ্রামের। অভিযোগ, সেখানে নাবালিকা কিশোরীকে দুই যুবক মিলে প্রথমে ধর্ষণ করেন। তখনই অসুস্থ হয়ে পড়ে কিশোরী। সংজ্ঞাও হারায়। সেই অবস্থায় কিশোরীকে খুনের চক্রান্ত করেন অভিযুক্তেরা। তার হাত এবং পা দড়ি দিয়ে বাঁধা হয়। তার পর রাস্তায় একটি মালবাহী ট্রলির চাকার নীচে তাকে ছুড়ে দেওয়া হয়। এর পর সেখান থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্তেরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তারা কিশোরীকে গাড়ির নীচ থেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে। কিশোরীকে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশই। তবে তার জ্ঞান ফিরতে দীর্ঘ সময় লেগেছিল। পুলিশের অনুমান, ধর্ষণের আগে কিশোরীকে মাদকদ্রব্য খাওয়ানো হয়েছিল। হাসপাতাল থেকে ওই কিশোরীর পরিবারকে খবর দেয় পুলিশ। পরিবারের সদস্যদের কাছে গোটা ঘটনাটি সে ব্যাখ্যা করেছে। সেই অনুযায়ী অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ফরিদপুর থানায়। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত দুই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করা হয়েছে। পকসো আইনে মামলা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। তবে এখনও তাঁদের গ্রেফতার করা যায়নি। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।