অরবিন্দ কেজরীওয়াল। — ফাইল চিত্র।
সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী নির্দেশের কয়েক ঘণ্টা পরেই শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ তিহাড় থেকে বেরিয়ে এলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। জেলের বাইরে ছিল আপ সমর্থকদের ভিড়। দলনেতাকে ঝাঁটা উঁচিয়ে স্বাগত জানালেন আপ নেতা-কর্মীরা। কেউ ছুড়লেন ফুল। বাজালেন ঢোল। তিহাড়ের বাইরে উপস্থিত ছিলেন কেজরীর স্ত্রী সুনীতা কেজরীওয়াল, দিল্লির মন্ত্রী অতিশী, সৌরভ ভরদ্বাজ। জেলের বাইরে হাজির হন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। তিহাড়ের চার নম্বর গেট দিয়ে বেরিয়ে এসে সমর্থকদের উদ্দেশে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, ‘‘আপনাদের ধন্যবাদ। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের ধন্যবাদ। স্বৈরতন্ত্রের থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।’’
কেজরীওয়ালকে শুক্রবার অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ১ জুন, শেষ দফার ভোটের দিন পর্যন্ত জেলের বাইরে থাকবেন তিনি। ২ জুন, তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে তাঁকে। আপ প্রধানের জামিনের বিরোধিতা করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সেই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘‘২১ দিনে খুব বেশি কিছু ফারাক হবে না।’’ তবে অন্তর্বর্তী জামিনের কিছু শর্তও দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ৫০ হাজার টাকা ব্যক্তিগত জামিনে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে কেজরীকে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দফতর বা সচিবালয়ে যেতে পারবেন না তিনি। আদালতে তাঁর তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল, তা মেনে চলতে হবে। অর্থাৎ উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনার অনুমতি ছাড়া তিনি কোনও সরকারি ফাইলে সই করতে পারবেন না। দিল্লির আবগারি দু্র্নীতি মামলা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না আপ প্রধান। এই মামলাতেই গ্রেফতার হন কেজরী। এই মামলার কোনও সাক্ষীদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না তিনি। দিল্লির আবগারি নীতি সংক্রান্ত কোনও সরকারি ফাইলও দেখতে পারবেন না।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী নির্দেশের পর তিহাড় জেলের সামনে জড়ো হতে থাকেন আপ সমর্থকেরা। তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, কেজরীওয়ালকে জেল থেকে ছাড়ার নির্দেশপত্র হাতে পেয়েছেন তাঁরা। এর পর শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ জেল থেকে বেরিয়ে আসেন কেজরী। তিহাড়ে ৫০ দিন ধরে রয়েছেন কেজরীওয়াল। গত ২১ মার্চ তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি।