উত্তরপ্রদেশে এ বার একক ভাবে ৪১ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে বিজেপি। অখিলেশের এসপি ৩২ শতাংশের সামান্য বেশি। ২০১৭-র তুলনায় এ বার বিজেপি-র প্রায় ৩ শতাংশ এবং এসপি-র প্রায় ১১ শতাংশ ভোট বেড়েছে। অন্য দিকে বিএসপি ২০১৭ সালে ২২ শতাংশের বেশি ভোট পেলেও এ বার তা ১২ শতাংশের কাছে নেমে এসেছে। মিম পেয়েছে ১ শতাংশেরও কম ভোট।
আসাদউদ্দিন, সঞ্জয় এবং মায়াবতী। ফাইল চিত্র।
উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে বিজেপি-র জয়ের জন্য আসাদউদ্দিন ওয়েইসি এবং মায়াবতীকে দুষল উদ্ধব ঠাকরের দল। শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতের অভিযোগ, সংখ্যালঘু এবং দলিত ভোট কেটে যোগী আদিত্যনাকে লখনউয়ের কুর্সি ফিরে পেতে সাহায্য করেছে ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম) এবং বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)।
সঞ্জয় শুক্রবার বলেন, ‘বিরাট জয় পেয়েছে বিজেপি। যদিও উত্তরপ্রদেশে তারাই ক্ষমতায় ছিল। এখনও রয়েছে। অখিলেশ যাদবের আসনও তিন গুণ বেড়েছে। ৪২ থেকে বেড়ে ১২৫ ছুঁয়েছে। মায়াবতী এবং ওয়েইসি এ বার বিজেপি-র জয়ে অবদান রেখেছেন। তাই তাঁদের অবশ্যই পদ্মবিভূষণ, ভারতরত্ন দেওয়া উচিত।’’
উত্তরপ্রদেশে এ বার একক ভাবে ৪১ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে বিজেপি। অখিলেশের সমাজবাদী পার্টি (এসপি) পেয়েছে ৩২ শতাংশের সামান্য বেশি। ২০১৭-র তুলনায় এ বার বিজেপি-র প্রায় ৩ শতাংশ এবং এসপি-র প্রায় ১১ শতাংশ ভোট বেড়েছে। অন্য দিকে বিএসপি ২০১৭ সালে ২২ শতাংশের বেশি ভোট পেলেও এ বার তা ১২ শতাংশের কাছে নেমে এসেছে। মিম পেয়েছে ১ শতাংশেরও কম ভোট।
মায়ার দল একটি আসনে জিতলেও আসাদউদ্দিনের প্রাপ্তি শূন্য। সঞ্জয়ের অভিযোগ, বিধানসভা ভোটে ওই দুই নেতার দল বিজেপি-র বি-টিমের কাজ করেছে। বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগ করেছে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ভোটগণনার ফল প্রকাশের পরেই ওয়েইসি বলেছিলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশের জনতার রায় মেনে আমরা জয়ী পক্ষকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’’ অন্য দিকে মায়াবতী জানিয়েছিলেন, ভোটের ফলে হতাশ না হয়ে নতুন করে লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু করবে তাঁর দল।