—প্রতীকী চিত্র।
স্ত্রীর সঙ্গে অস্বাভাবিক যৌনতাকে আদৌ ধর্ষণ বলা যায় না। এ সব ক্ষেত্রে স্ত্রীর অনুমতি নেওয়ার বিষয়টিও অবাস্তব। একটি মামলায় এমনটাই মন্তব্য করেছে মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট। স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া মহিলার আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
মামলাকারী মহিলার অভিযোগ ছিল, তাঁর সঙ্গে তাঁর স্বামী একাধিক বার অস্বাভাবিক যৌনতায় লিপ্ত হয়েছেন। কোনও ক্ষেত্রেই মিলনের আগে তাঁর অনুমতি নেওয়া হয়নি। ওই প্রকারের মিলনে আদৌ তাঁর সম্মতি ছিল না বলে জানিয়েছেন মহিলা। স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে এফআইআর করেছিলেন তিনি। আদালত সেই এফআইআর খারিজ করে দিয়েছে।
মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের বিচারপতি গুরপাল সিংহ অহলুওয়ালিয়ার বেঞ্চ জানিয়েছে, স্ত্রীর সঙ্গে কোনও প্রকার অস্বাভাবিক যৌনতা ধর্ষণ হতে পারে না। এ ক্ষেত্রে স্ত্রীর অনুমতি সংক্রান্ত বিষয়টি অবাস্তব। কারণ, মহিলার বয়স ১৫ বছরের নীচে নয় এবং বৈবাহিক ধর্ষণ ভারতীয় আইনে এখনও স্বীকৃত নয়।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারায় ধর্ষণের সংশোধিত সংজ্ঞা অনুযায়ী, ১৫-ঊর্ধ্ব স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর স্বামীর কোনও প্রকার যৌন সংসর্গ ধর্ষণ নয়। এ ক্ষেত্রে তাই স্ত্রীর সম্মতির বিষয়টি বিবেচ্য হয় না। বৈবাহিক ধর্ষণ এখনও ভারতীয় আইনে স্বীকৃত হয়নি। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা অনুযায়ী, স্বামী তাঁর আইনত বৈধ স্ত্রীর সঙ্গে এক ছাদের নীচে থাকলে অস্বাভাবিক যৌনতা দোষের নয়। তাই এই এফআইআরের কোনও ভিত্তি নেই।
একই সঙ্গে আদালত জানিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬বি ধারা অনুযায়ী একটি ক্ষেত্রেই স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনতে পারেন স্ত্রী। যদি আইনত বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও স্বামী এবং স্ত্রী আলাদা থাকেন, তবেই ওই অভিযোগ বৈধ হতে পারে। এই নির্দিষ্ট মামলাটির ক্ষেত্রে অভিযোগকারী স্ত্রী পুলিশকে জানান, তিনি বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার পর স্বামী তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁর সঙ্গে অস্বাভাবিক যৌনতায় লিপ্ত হন। একাধিক বার ওই কাজ করেন তিনি। তবে স্ত্রীর অভিযোগ খারিজ হয়ে গিয়েছে।