উন্নাওয়ের নির্যাতিতার জন্য এমস হাসপাতালের সামনে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত। —ফাইল চিত্র
ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তার পর গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। কিন্তু তার পরেও ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছে উন্নাওয়ের নির্যাতিতা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের। উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডে আদালতকে এমনটাই জানাল সিবিআই। শুধু তাই নয়, বুধবার আদালতকে সিবিআই জানিয়েছে, নির্যাতিতা সর্বোচ্চ পর্যায়ের হুমকির শিকার হয়েছেন। সিবিআই-এর এই অভিযোগের পরই উত্তরপ্রদেশ সরকারকে আদালতের নির্দেশ, কী ভাবে এবং কত তাড়াতাড়ি নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের স্থানান্তরিত করা যায়, সেই বিষয়ে রিপোর্ট দিতে হবে।
২০১৭ সালের জুলাইয়ে বছর সতেরোর কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয় বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারের বিরুদ্ধে। সেই মামলার তদন্তে নেমে গত বছরের এপ্রিলে কুলদীপকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পর থেকেই বিজেপি বিধায়ক জেলে রয়েছেন। কিন্তু তিনি জেলে থাকলেও তাঁর অনুগামী-ঘনিষ্ঠরা ক্রমাগত তাঁকে এবং তাঁর পরিবারের লোকজনকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন উন্নাওয়ের নির্যাতিতা। তার মধ্যেই গত ২৮ জুলাই রায়বরেলির কাছে গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন ওই তরুণী। তাঁর দুই আত্মীয়ের মৃত্যু হয়। তবে তিনি বর্তমানে দিল্লির এমস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ওই গাড়ি দুর্ঘটনার পরই ঘটনার তদন্তভার নেয় সিবিআই। কারণ, তরুণীর পরিবারের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, ওই ঘটনা নিছক দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত খুনের ছক। কিন্তু তরুণী যে হেতু গুরুতর অসুস্থ, তাই হাসপাতালেই তৈরি হয় বিশেষ আদালত। এ মাসের গোড়াতেই হাসপাতালে গিয়ে তরুণীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন দিল্লি আদালতের এক বিচারক। এই আদালতেই সিবিআই অভিযোগ জানায়, নির্যাতিতা ‘ক্যাটেগরি এ’ পর্যায়ের হুমকির শিকার। তাই নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা উচিত, আর্জি জানান সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসাররা।
আরও পড়ুন: অসমের নাগরিকপঞ্জি নিয়ে কথা হয়েছে, অমিতের সঙ্গে বৈঠক শেষে বললেন মমতা
আরও পড়ুন: দেখতে পেল না নাসার অরবিটার, শেষঘুমে বিক্রম! রাত নেমে এল চাঁদে
সিবিআই-এর এই আর্জির ভিত্তিতেই বিচারক ধর্মেশ শর্মা উত্তরপ্রদেশ সরকারকে একটি নোটিস দিয়েছে। এই বিষয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারক। কী ভাবে ওই তরুণীর মা, দুই বোন এবং ভাইকে অন্যত্র সরিয়ে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা যায়, সে বিষয়ে আদালতকে লিখিত জানাতে হবে যোগী সরকারের প্রশাসনকে। সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেবে আদালত।