লালারস সংগ্রহ করে পিসিআর-এর মাধ্যমে হয় কোভিড পরীক্ষা। ছবি: পিটিআই।
পশ্চিমবঙ্গের কনটেনমেন্ট এলাকাগুলিতে কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা অনুযায়ী কোভিড পরীক্ষা হচ্ছে না বলে অভিযোগ জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে শুরু থেকেই সরব কেন্দ্র। দু’টি কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলও ঘুরে গিয়েছে রাজ্যে। দু’টি দলের পক্ষ থেকেই রাজ্যের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করে রিপোর্ট দেওয়া হয় কেন্দ্রকে। যার ভিত্তিতে রাজ্যকে একাধিক পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কিন্তু কেন্দ্রের বক্তব্য, বারংবার বলা সত্ত্বেও রাজ্যের মনোভাব পাল্টাচ্ছে না।
এই আবহে গত কাল পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশাকে নিয়ে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। বৈঠকে ওড়িশার পক্ষ থেকে বিভিন্ন নোডাল অফিসাররা উপস্থিত থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিত্ব করেন জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধিকর্তা সৌমিত্র মোহন। বৈঠকে রাজ্যের শীর্ষ কর্তাদের অনুপস্থিতি ভাল ভাবে নেয়নি কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সূত্রের বক্তব্য, বৈঠকে করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের গা-ছাড়া মনোভাবের সমালোচনা করে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গে লকডাউনের নিয়ম মানা হচ্ছে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকা নির্দেশিকা অনুসারে পশ্চিমবঙ্গের কন্টেনমেন্ট এলাকায় প্রতিদিন ন্যূনতম আড়াইশোটি টেস্ট করার কথা। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০টি টেস্ট। যার ফলে প্রকৃত রোগীর সংখ্যা জানা যাচ্ছে না। অন্য দিকে, ওড়িশায় প্রতিদিন পাঁচশোর উপর টেস্ট হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ক্লান্তিতে রেললাইনে ঘুম, অওরাঙ্গাবাদে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত ১৬ শ্রমিক
করোনাভাইরাসকে সঙ্গে নিয়েই বাঁচতে হবে, সেটাই বড় চ্যালেঞ্জ: কেন্দ্র
পাশাপাশি করোনা নয় এমন কারণে অসুস্থ এবং আশু চিকিৎসার প্রয়োজন এমন রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির হার পশ্চিমবঙ্গে এক মাসে ২৫ শতাংশ কমে গিয়েছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ডায়ালিসিসি, কেমোথেরাপি, লিভার বা হার্টের রাগী। বৈঠকে বলা হয়, এক মাসের মধ্যে এই সব দুরারোগ্য অসুখ সেরে গেল এমনটা হতে পারে না। কেন তাঁরা হাসপাতালে পৌঁছাতে পারছেন না, তা খতিয়ে দেখুক রাজ্য। প্রয়োজনে এর জন্য বিশেষ কলসেন্টার খোলার জন্য সুপারিশ করেছে কেন্দ্র।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)