ছোটা রাজন। — ফাইল চিত্র।
তিহাড় জেল থেকে দিল্লির এমসে ভর্তি করানো হল অন্ধকার জগতের ডন ছোটা রাজনকে। সূত্রের খবর, দাউদের প্রাক্তন সঙ্গী রাজনের সাইনাসের সমস্যা রয়েছে। তাঁর অস্ত্রোপচার করতে পারেন চিকিৎসকেরা।
হোটেল মালিক জয়া শেট্টির খুনে রাজনকে ২০২৪ সালে যাবজ্জীবন দিয়েছিল আদালত। ২০০১ সালে ওই খুন করেছিলেন তিনি। যদিও গত অক্টোবর মাসে নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজায় স্থগিতাদেশ দেয় বম্বে হাই কোর্ট। রাজনকে জামিনও দেয় কোর্ট। এক লক্ষ টাকা বন্ডের বিনিময়ে। যদিও জেলমুক্তি ঘটেনি তাঁর। ২০১১ সালে সাংবাদিক জে দে-কে খুন করার অপরাধে ২০১৮ সালে তাঁকে যাবজ্জীবন দিয়েছিল বিশেষ আদালত। অন্যান্য অপরাধের মামলাও রয়েছে তাঁর নামে। সে কারণে একটি মামলায় জামিন পেলেও তিহাড়েই থাকতে হয় রাজনকে।
গত সপ্তাহে রাজনের গোষ্ঠীর এক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৩২ বছর ধরে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন বিলাস পওয়ার। ১৯৯২ সালে দাদর থানায় গুলি চালনা এবং অন্য একটি খুনের জন্য তাঁকে খুঁজছিল পুলিশ। অতীতে রাজনের ‘ঘনিষ্ঠ’ সহযোগী ছিলেন বিলাস। তাঁর মাধ্যমেই আশির দশকে মুম্বইয়ের গোবন্দীতে আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন রাজনের অনুগামীরা। ২০১৫ সালে রাজনকে গ্রেফতার করে ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ। বালি থেকে দেশে ফেরানো হয়েছিল তাঁকে। সেই থেকে তিনি জেলবন্দি।