Umar Khalid

আঁচ পেয়ে ভিডিয়ো করেছিলেন উমর

দিল্লির গোষ্ঠী সংঘর্ষের ষড়যন্ত্রী হিসেবে জেএনইউয়ের ছাত্রী দেবাঙ্গনা কলিতা, জামিয়ার পড়ুয়া মীরন হায়দরের মতো উমরকেও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা আইনে (ইউএপিএ) সম্প্রতি গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০১:৪১
Share:

—ফাইল চিত্র।

২ মিনিট ১৮ সেকেন্ডের ভিডিয়ো। যার শুরুতেই সদ্য পুলিশি হেফাজতে যাওয়া উমর খালিদ বলছেন, “এই ভিডিয়ো আপনারা দেখছেন মানে, গ্রেফতার করা হয়েছে আমাকে।” দিল্লি পুলিশের সামনে জেরায় বসার আগে জেএনইউ প্রাক্তনীর ওই রেকর্ড করে যাওয়া ভিডিয়ো বুধবার প্রকাশ করেছেন প্রতিবাদী পড়ুয়ারা। এবং তাকে সামনে রেখে ফের প্রশ্ন তুলেছেন, সত্যিই কি ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীর বুকে হওয়া গোষ্ঠী সংঘর্ষের নেপথ্যের ষড়যন্ত্র খুঁজতে তদন্ত চালাচ্ছে দিল্লি পুলিশ? নাকি সেই তদন্তই আসলে সিএএ-এনআরসি-র প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র?

Advertisement

দিল্লির গোষ্ঠী সংঘর্ষের ষড়যন্ত্রী হিসেবে জেএনইউয়ের ছাত্রী দেবাঙ্গনা কলিতা, জামিয়ার পড়ুয়া মীরন হায়দরের মতো উমরকেও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা আইনে (ইউএপিএ) সম্প্রতি গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। তার আগে দাবি করেছে যে, ১১ লক্ষ পাতার নথি সামনে রেখে জেরা করতে হবে তাঁকে। কিন্তু ভিডিয়োতে উমরের এবং তার আগে সংবাদমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে তাঁর মায়ের দাবি, জেরার ডাক পড়ার দিনেই গ্রেফতারির কথা কার্যত বুঝে গিয়েছিলেন তাঁরা। তাই ওই ভিডিয়ো-রেকর্ডিং করে রেখে গিয়েছেন উমর। আর বিদেশে থাকা উমরের দুই বোনকে মাঝরাতে তুলেও ফোনে ছেলের সঙ্গে এক বার কথা বলিয়ে দিয়েছিলেন মা। শুধু এই আশঙ্কায়, যদি ছেলেকে জেলে যেতে হয়!

বারবার অভিযোগ উঠছে, গোষ্ঠী সংঘর্ষের আগে যে সব বিজেপি নেতা সত্যিই প্ররোচনামূলক কথা বলেছিলেন, তাঁদের কাউকে ছোঁয়নি দিল্লি পুলিশ। অথচ এই কড়া আইনে গ্রেফতার করা হচ্ছে একের পর এক ছাত্রনেতাকে। উমরেরই যেমন অভিযোগ, তাঁর মিনিট সতেরোর বক্তৃতার মধ্যে একটি ৩০-৪০ সেকেন্ডের ক্লিপ ২ থেকে ৪ মার্চ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে বিজেপির আইটি সেল। ৬ মার্চ তাঁর নামে এফআইআর দায়ের করা হয় অবিকল ওই অভিযোগের ভিত্তিতে!

Advertisement

আগে থেকে এই ভিডিয়ো রেকর্ড করে রেখেছিলেন উমর।

আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত নিতিন গডকড়ী, টুইট করে জানালেন নিজেই​

আরও পড়ুন: দিল্লি হিংসায় চার্জশিট পুলিশের, ১৫ জন অভিযুক্তের মধ্যে নেই উমর, শরজিলের নাম​

সমাজকর্মী যোগেন্দ্র যাদবের বক্তব্য, “উমর খালিদ ‘যাদব’ কিংবা ইয়েচুরি’ হলে, এই অভিযোগ অনেকে হেসে উড়িয়ে দিত। …কিন্তু তিনি মুসলিম।” আর গুজরাতের বিধায়ক জিজ্ঞেশ মেবাণীর কটাক্ষ, ‘‘নরেন্দ্র মোদীর ভারতে শান্তির কথা বলেও উমর সন্ত্রাসবাদী।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement