ছবি: পিটিআই।
সাভারকর বিতর্কের সঙ্গে এ বার জুড়ে গেল নাগরিকত্ব আইন বিতর্কও। সাভারকর প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রে জোটশরিক শিবসেনাকে খোঁচা দিয়েছিল বিজেপি। জবাবে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে দাবি করলেন, নয়া নাগরিকত্ব আইন সাভারকরের আদর্শের বিরোধী।
গত কাল দিল্লির ‘ভারত বাঁচাও’ র্যালিতে রাহুল বলেন, ‘‘বিজেপি চায়, রেপ ইন ইন্ডিয়া মন্তব্যের জন্য আমি ক্ষমা চাই। কিন্তু আমার নাম রাহুল সাভারকর নয়। রাহুল গাঁধী। আমি ঠিক কথার জন্য ক্ষমা চাইব না।’’ এর পরেই শুরু হয় বিতর্ক। দামোদর বিনায়ক সাভারকর যে ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ সরকারের কাছে বারবার ক্ষমা চেয়ে ও মুক্তি প্রার্থনা করে চিঠি লিখেছিলেন। কিন্তু আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতাকে নিয়ে এই মন্তব্যের জেরে রাতেই রাহুলকে নিশানা করে বিজেপি। নাম না করে কংগ্রেসকে ‘সতর্ক’ করে শিবসেনাও।
আরও পড়ুন: নীতীশ-প্রশান্ত বৈঠক, মতবদল জেডিইউয়ের
বিজেপি মুখপাত্র শাহনওয়াজ হুসেন শিবসেনাকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘কেবল সাভারকরের অপমান নিয়ে সরব হলেই হবে না। যে কংগ্রেস স্বাধীনতা সংগ্রামী সাভারকরকে অপমান করল তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তিনি ক্ষমতা ভোগ করতে চান কি না তা উদ্ধব ঠাকরেকে ভাবতে হবে।’’ জবাবে উদ্ধব বলেন, ‘‘নয়া নাগরিকত্ব আইনের মতো বিষয় সাভারকরের মতের বিরোধী। এই আইন কি আদর্শের উপরে ভিত্তি করে আনা হয়েছে? যে হিংসা হল তার দায় কে নেবে?’’ অন্য দিকে আজ সাভারকরের পৌত্র রঞ্জিত বলেন, ‘‘সরকারের উচিত রাহুলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা। দেশের আদর্শস্বরূপ এক ব্যক্তিকে নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তিনি। এর পরে আর দেশে আদর্শ বলে কিছু থাকবে না।’’ রঞ্জিত বলেন, ‘‘নেহরু-গাঁধীরা এমন মন্তব্য করে থাকেন। শিবাজিকে লুটেরা বলেছিলেন জওহরলাল নেহরু। মহারাষ্ট্রে তীব্র প্রতিক্রিয়ার পরে তাঁকে ক্ষমা চাইতে হয়েছিল।’’ রঞ্জিতের বক্তব্য, ‘‘সাভারকর ১৪ বছর জেলে ছিলেন। তার পরে তাঁকে ১৩ বছর গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল। পাঁচ বছর রাজনীতি না করার প্রতিশ্রুতিও দিতে হয়েছিল তাঁকে।’’ সাভারকর-পৌত্রের বক্তব্য, ‘‘নেহরু ১৯৫০ সাল পর্যন্ত রাজা ষষ্ঠ জর্জকে ভারতসম্রাট বলে মনে করতেন। রাজা জর্জকে লেখা চিঠিতে ভারতকে ডোমিনিয়ন বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। নেহরুই বা দেশের সম্মান কখন বজায় রেখেছিলেন?’’ রঞ্জিত জানাচ্ছেন, কিন্তু স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে নেহরুরও অবদান আছে। তাই জাতির আদর্শস্বরূপ কোনও ব্যক্তিকে নিয়েই অবমাননাকর মন্তব্য করা উচিত নয়।