ধৃত দুই যুবকের থেকে ব্যাঙ্কের ভুয়ো আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে গ্রাহকদের থেকে বাতিল চেক চাইতেন দুই যুবক। সেই বাতিল চেকগুলিতে প্রয়োজনীয় তথ্য জাদুকলম (ম্যাজিক পেন) দিয়ে লেখানো হত গ্রাহকদের। তার পর সেই লেখা মুছে গেলেই ইচ্ছামতো টাকার পরিমাণ ওই চেকে বসিয়ে গ্রাহকদের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতাতেন। এমন অভিযোগে দুই যুবককে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করল নয়ডা পুলিশ।
যে সব গ্রাহক ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিতে চাইতেন, বেছে বেছে তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করতেন বলে ওই দুই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। যুবকরা নিজেদের ব্যাঙ্ক আধিকারিক হিসাবে পরিচয় দিতেন বলে দাবি পুলিশের।
সম্প্রতি ওই দুই যুবকের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ২ লক্ষ টাকা খোয়ান নয়ডার এক চিকিৎসক। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে গত ৫ অক্টোবর সেক্টর ২০ থানায় এফআইআর দায়ের করেন তিনি। এই অভিযোগ দায়েরের পরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। তদন্তে নেমে গাজিয়াবাদের যুবক অমিত ত্যাগী ও মিরাটের বাসিন্দা আদিলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দুই যুবক নিজেদের ব্যাঙ্ক আধিকারিক হিসাবে পরিচয় দিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের দ্বারস্থ হতেন। ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাওয়ার ব্যাপারে গ্রাহকদের ভরসা জোগাতেন তাঁরা। গ্রাহকদের থেকে আধার কার্ড, প্যান কার্ড-সহ প্রয়োজনীয় নথিও চাইতেন যুবকরা। পাশাপাশি প্রত্যেক গ্রাহকের থেকে তিনটি বাতিল চেক চাইতেন। সেই চেকগুলিতে প্রয়োজনীয় তথ্য জাদুকলম দিয়ে লেখানো হত। ফলে কিছু সময় পর ওই কলমে যা লেখা হত, তা আপনাআপনি মুছে যেত। এর পর ওই চেকগুলিতে ইচ্ছামতো টাকার পরিমাণ বসিয়ে ও সই জাল করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতাতেন যুবকরা।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দুই যুবককে গত বুধবার সন্ধ্যায় সেক্টর ২৮ এলাকায় দেবন মার্কেট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেরায় তাঁরা এই প্রতারণার কারবারের কথা স্বীকার করেছেন বলে দাবি পুলিশের। ধৃতদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের পাঁচটি ভুয়ো ব্যাঙ্ক আইডি কার্ড, ১৯টি আধার কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।