জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি সেনার। ছবি: পিটিআই।
জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়ায় সেনা কনভয়ে হামলার ঘটনায় স্থানীয় দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। হামলার আগে জঙ্গিদের খাবার এবং গাড়ির ব্যবস্থা করেছিলেন এই দু’জন। তেমনই দাবি পুলিশের। ধৃতেরা হলেন, লিয়াকত এবং রাজ। পাকিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে ধৃতদের যোগাযোগ রয়েছে বলেও দাবি পুলিশের।
সেনা সূত্রে খবর, কনভয়ে হামলা চালানোর আগে জঙ্গিদের যাবতীয় সাহায্য করেছিলেন এই দু’জন। হামলা চালিয়ে কী ভাবে গাড়ি নিয়ে পালাতে হবে, সব কিছু ব্যবস্থা করেছিলেন লিয়াকত এবং রাজ। শুধু তাই-ই নয়, পাকিস্তানেও যোগাযোগ রাখতেন এই দু’জন। গত ৮ জুলাই মেছেরি-কিন্ডলি-মলহর রোডে বাদনোতা গ্রামের কাছে সেনা কনভয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা। কনভয় লক্ষ্য করে স্বয়ংক্রিয় এবং অত্যাধুনিক অস্ত্র গিয়ে গুলিবর্ষণ করে তারা। পাশাপাশি, কনভয় লক্ষ্য করে হ্যান্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়।
কাঠুয়ার সেই জঙ্গি হামলায় পাঁচ সেনা নিহত হন। কাঠুয়ার ঘটনার পর থেকেই জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে ওই জেলায়। শুধু কাঠুয়া নয়, গত কয়েক সপ্তাহে উপত্যকা জুড়ে বেশ কয়েক জায়গায় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। গত সোম এবং মঙ্গলবার রাজৌরি এবং বাত্তাল সেক্টরে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে।
গত কয়েক মাস ধরে বার বার অশান্ত হয়ে উঠেছে জম্মু-কাশ্মীর। কখনও সেনাছাউনিতে, কখনও আবার সেনা কনভয়ে হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দিয়েছে সেনাও। তবে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে কয়েক জন সেনাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। জম্মু ও কাশ্মীরে পাকিস্তানি জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ রুখতে উপত্যকায় ৫০০ প্যারা স্পেশ্যাল ফোর্স কমান্ডো বা প্যারা এসএফ কমান্ডো মোতায়েন করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, সীমান্তের ও পার থেকে প্রায় ৫০-৫৫ জঙ্গি জম্মুতে ঢুকে গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছে বলে সেনাবাহিনীর কাছে খবর রয়েছে। আত্মগোপন করে থাকা সেই পাকিস্তানি জঙ্গিদের নিকেশ করতেই জম্মুতে প্যারা স্পেশ্যাল ফোর্সের ৫০০ কমান্ডোকে মোতায়েন করা হয়েছে।