Smog in Delhi

ধোঁয়াশায় ঢাকা রাস্তায় পর পর গাড়ি, ট্রাকের ধাক্কা, উত্তরপ্রদেশে বিচ্ছিন্ন দুর্ঘটনার বলি ২, আহত বহু

বদায়ূঁর কাছে ট্রাকের ধাক্কায় বাইক থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে আরোহীর। তাঁর নাম সন্তোষ সিংহ। মৌয়ের একটি স্কুলের শিক্ষক ছিলেন তিনি। স্কুলে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:৫১
Share:

উত্তরপ্রদেশের ট্রাকের সঙ্গে বাসের ধাক্কা। ছবি: এক্স।

দিল্লি, এনসিআরে রোজ বৃদ্ধি পাচ্ছে দূষণের মাত্রা। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে দূষণের ছবিটাও প্রায় একই রকম। সেই সঙ্গে বিপত্তি বৃদ্ধি করেছে ধোঁয়াশা, যার কারণে কমেছে দৃশ্যমানতা। এর ফলে মঙ্গলবার ভোরে নয়ডা এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে বিচ্ছিন্ন কয়েকটি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন দু’জন বাইক আরোহী। আহত অন্তত ৩০ জন।

Advertisement

মঙ্গলবার ভোরে বুলন্দশহরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি বাইকে ধাক্কা দেয় একটি ট্রাক। ধাক্কার অভিঘাতে বাইক থেকে ছিটকে পড়ে মৃত্যু হয় আরোহীর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম মানশরম। তিনি মৈনপুরীর বাসিন্দা। ওই ট্রাক চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বদায়ূঁর কাছে ট্রাকের ধাক্কায় বাইক থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে আরোহীর। তাঁর নাম সন্তোষ সিংহ। মৌয়ের একটি স্কুলের শিক্ষক ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ওই এলাকায় গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ১০ জন।

কুণ্ডলি-গাজ়িয়াবাদ-পালওয়াল এক্সপ্রেসওয়েতে মঙ্গলবার ভোরে একটি ট্রাককে পিছন থেকে ধাক্কা দেয় অন্য একটি ট্রাক। দৃশ্যমানতা কম থাকায় সামনের ট্রাকটিকে ঠাহর করতে পারেননি পিছনের ট্রাকের চালক। এই পরিস্থিতিতে পিছনের ট্রাকটিকে ধাক্কা দেয় একটি বাস। পানিপথ থেকে মথুরা যাচ্ছিল সেই বাসটি। তাতে সওয়ার ১২ জন যাত্রী গুরুতর আহত হন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Advertisement

অন্য দিকে, আগরার কাছে ফিরোজ়াবাদের রাস্তায় ব্রেকডাউন হয় একটি ট্রাকের। ট্রাকটি রাস্তায় যে দাঁড়িয়ে রয়েছে, তা ধোঁয়াশার কারণে দেখতে পাননি পিছনের গাড়ির চালক। তার পিছনের গাড়ির চালকদেরও একই অবস্থা হয়। সে কারণে পর পর গাড়িগুলি একে অপরকে ধাক্কা দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। আহত হন বেশ কয়েক জন। তাঁদের সাইফাই মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে। নাসিরপুরের কাছে আগরা-লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে একই কাণ্ড হয়েছে। তাতেও আহত হয়েছেন কয়েক জন। একটি গাড়ির চালকের কথায়, ‘‘আমি কিছুই দেখতে পাচ্ছিলাম না। আমার গাড়ি সামনের গাড়িতে ধাক্কা দিল। ওই গাড়িটা আবার একটা ট্রাকে ধাক্কা দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছিল।’’

গত কয়েক দিন ধরে দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বেশ কিছু শহর দূষণে হাঁসফাঁস করছে। বাতাসের গুণমানের সূচক ‘অতি ভয়ঙ্কর’ পর্যায়ে পৌঁছেছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন কেন কড়া পদক্ষেপ করেনি এত দিন, সেই নিয়ে ধমক দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দূষণের কারণে অসুস্থ হচ্ছেন বহু মানুষ। ফল ভুগছে অর্থনীতিও। প্রতিদিন ব্যাহত হচ্ছে রেল, বিমান পরিষেবা। দৃশ্যমানতা কম থাকায় সড়ক দুর্ঘটনাও লেগেই রয়েছে। মঙ্গলবার নয়ডা, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে প্রাণ হারিয়েছেন দু’জন, আহত বহু।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement