Income Tax

আয়কর হানা নিয়ে তুঙ্গে ছত্তীসগঢ় ও কেন্দ্রের দ্বন্দ্ব

বৃহস্পতিবার থেকে সৌম্যা, বাণিজ্য দফতরের যুগ্মসচিব এ কে টুটেজা, প্রাক্তন মুখ্যসচিব বিবেক ঢান্ড, রায়পুরের মেয়র ইজাজ়-সহ বেশ কয়েক জনের বাড়ি-অফিসে হানা দেয় আয়কর দফতর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

রায়পুর ও নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২০ ০৩:৫৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

ছত্তীসগঢ়ে আয়কর হানা নিয়ে এ বার পুরোদস্তুর কেন্দ্র-রাজ্য দ্বন্দ্ব শুরু হল। গত কাল ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল দাবি করেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিশোধ’ নেওয়ার জন্যই মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের উপসচিব সৌম্যা চৌরাসিয়া-সহ আমলা ও ব্যবসায়ীদের বাড়িতে আয়কর অভিযান চালিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। আজ একই অভিযোগে সরব হয়েছেন কং‌গ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা। আয়কর হানায় সিআরপিএফ ব্যবহার নিয়েও কেন্দ্রের কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি।

Advertisement

বৃহস্পতিবার থেকে সৌম্যা, বাণিজ্য দফতরের যুগ্মসচিব এ কে টুটেজা, প্রাক্তন মুখ্যসচিব বিবেক ঢান্ড, রায়পুরের মেয়র ইজাজ়-সহ বেশ কয়েক জনের বাড়ি-অফিসে হানা দেয় আয়কর দফতর। দিল্লির আয়কর অফিসারদের সঙ্গে ছিল সিআরপিএফ। গত কাল বাঘেল বলেন, ‘‘আগে আমরা আয়কর হানায় বাধা দিইনি। কিন্তু এ বার রাজ্যকে না জানিয়ে রাজনৈতিক প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আয়কর হানা চালানো হয়েছে। এটা আমার সরকারকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা।’’ বাঘেল দাবি করেন, রাজ্যের আর্থিক অপরাধ দমন শাখা ছত্তীসগঢ়ে বিজেপি জমানার রেশন কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্ত শুরু করার পরে ভয় পেয়েছে বিজেপি। তাই পাল্টা চাপ দেওয়ার জন্য আয়কর
হানা হয়েছে।

আজ একই সুরে কেন্দ্রের সমালোচনা করেন কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা ও পান্নালাল পুনিয়া। সুরজেওয়ালার কথায়, ‘‘কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে মোদী সরকারের তথাকথিত আঁতাঁতের চক্রে এ বার জড়াল সিআরপিএফও। রাজ্যের নির্বাচিত সরকারকে না জানিয়ে গোপনে চার দিন ধরে আয়কর হানা চালানো হল। তাতে ব্যবহার করা হল সিআরপিএফের মতো বাহিনীকে। এটা সংবিধানের পরিপন্থী। আগের কোনও সরকারই বিরল পরিস্থিতি ছাড়া কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করেনি।’’ পুনিয়ার মতে, ‘‘ছত্তীসগঢ়ের কংগ্রেস সরকার বুঝতে পারছে, রাজ্যে বিজেপি জমানার দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত ঠিক পথেই এগোচ্ছে। এতে রাজ্য সরকারের উৎসাহ বাড়বে।’’

Advertisement

হানার সময়ে আয়কর অফিসারেরা যে সব গাড়ি ব্যবহার করেছিলেন সেগুলিকে শুক্রবার আটক করে রায়পুর পুলিশ। পরে অবশ্য গাড়িগুলিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। গত কাল বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কেরা দাবি করেন, আয়কর দফতরের তদন্তে বাধা দেওয়ার জন্যই গাড়িগুলিকে আটক করা হয়েছিল। রায়পুর পুলিশের যুক্তি, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সফরের আগে তল্লাশি চলছে। বেসরকারি ভ্রমণ সং‌স্থার ওই গাড়িগুলি নো পার্কিং জ়োন-এ রাখা ছিল। তাই সেগুলিকে আটক করা হয়েছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement