লক্ষ্মণ সভড়ী, জগদীশ শেট্টার এবং এসআর শ্রীনিবাস — ফাইল চিত্র।
দলবদলুদের টিকিট দিয়েছিল দু’তরফই। পরিসংখ্যান বলছে কর্নাটকের বিধানসভা ভোটে সেই দল বদলানো প্রার্থীদের জিতিয়ে আনার ক্ষেত্রেও বিজেপিকে টেক্কা দিয়েছে কংগ্রেস। তবে হেরে গিয়েছেন বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে আসা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার। হুবলি-ধারওয়াড় সেন্ট্রাল কেন্দ্রের ৩ বারের বিজেপি বিধায়ক, প্রভাবশালী লিঙ্গায়েত নেতা শেট্টারকে এ বার হারিয়েছেন পদ্ম-চিহ্নের প্রার্থী তেঙ্গনাকাই।
শেট্টার হেরে গেলেও কিট্টুর (মুম্বই-কর্নাটক) এলাকার আর এক প্রভাবশালী লিঙ্গায়েত নেতা তথা প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মণ সভড়ী বেলগাভি জেলার অথানি কেন্দ্রে ৬৮ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়ে জিতেছেন। গুলবর্গা জেলার মোলাকলমুরু আসনে জিতেছেন বিজেপি ছেড়ে আসা বিদায়ী বিধায়ক এনওয়াই গোপালকৃষ্ণ। চিকমাগালুর কেন্দ্রের চার বারের বিধায়ক তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সিটি রবিকে হারিয়েছেন গত ফেব্রুয়ারিতে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে দেওয়া এইচডি থাম্মাইয়া।
শুধু বিজেপি নয়, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচি দেবগৌড়ার দল জেডিএস থেকেও একগুচ্ছ নেতাকে এনে টিকিট দিয়েছিল কংগ্রেস। তাঁদের মধ্যে জিতেছেন অনেকেই। প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এসআর বঙ্গারাপ্পার ছেলে মধু রয়েছেন সেই তালিকায়। শিমোগা জেলার সোরাব কেন্দ্রে মধু তাঁর দাদা তথা বিজেপির বিদায়ী বিধায়ক কুমারকে হারিয়েছেন। ১৯৯৯ সাল থেকে টানা ৫ বারের জেডি(এস) বিধায়ক এসআর শ্রীনিবাস টুমকুরু জেলার গুব্বি আসনে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়েছেন।
সব মিলিয়ে কংগ্রেস এ বার ২৩ জন দলবদলুকে প্রার্থী করেছিল কর্নাটকে। এর মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ জিতেছেন। অন্য দিকে, বিজেপির টিকিটে দাঁড়ানো ১৮ দলবদলুর মধ্যে জয়ীর সংখ্যা এক চতুর্থাংশেরও কম। বিজেপির টিকিটে দাঁড়ানো দলবদলুদের অনেকেই ২০১৯ সালে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারের পতন ঘটাতে পদ্মশিবিরে যোগ দিয়েছিলেন।