Bangladesh Crisis

৩৬ বছর জেলবন্দি! দীর্ঘ তিন দশক পর বাংলাদেশের জেল থেকে মুক্তি পেলেন ত্রিপুরার শাহজাহান

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের বিভিন্ন জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন একাধিক মানুষ। হাসিনার কুখ্যাত জেল ‘আয়নাঘর’ থেকে মুক্তি পেয়ে ঘরে ফিরেছেন বহু রাজবন্দি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২৪ ১৬:২৪
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

অবশেষে মুক্তি! দীর্ঘ ৩৬ বছর পর বাংলাদেশের জেল থেকে মুক্তি পেলেন ত্রিপুরার শাহজাহান। বুধবার তিন দশক পর দেশে ফিরেছেন তিনি।

Advertisement

শাহজাহান ওরফে বিলাসের বাড়ি ত্রিপুরার সোনামুড়া দুর্গাপুরে। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশে আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন শাহজাহান। সেখানেই ধরা পড়েন পুলিশের হাতে। বেআইনি অনুপ্রবেশের দায়ে জেলে যেতে হয় তাঁকে। মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁকে আদালতে হাজির করায় বাংলাদেশ পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে তাঁকে ১১ বছরের সাজা শোনায় আদালত। সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে, কিন্তু ফেরা হয়নি শাহজাহানের। বরং নানা আইনি জটিলতায় কেটে গিয়েছে আরও ২৫টা বছর।

বুধবার বাংলাদেশের কুমিল্লার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন শাহজাহান। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সহযোগিতায় কুমিল্লার বিবির বাজার-সোনামুড়া শ্রীমন্তপুর চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে ফিরেছেন তিনি। সহায়তা করেছে আগরতলার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও।

Advertisement

সে দিনের যুবক শাহজাহানের বয়স এখন ৬২। রয়েছেন প্রৌঢ়া স্ত্রী এবং ছেলেও। যখন শাহজাহান ধরা পড়েন, তাঁর স্ত্রী তখন সন্তানসম্ভবা। এত বছর পরে প্রথম বার ছেলের মুখ দেখলেন পিতা। দীর্ঘ অপেক্ষার পর শাহজাহানকে ফিরে পেয়ে আবেগে ভাসছে গোটা গ্রাম। খুশি শাহজাহানও। সংবাদ সংস্থার কাছে তাঁর অকপট স্বীকারোক্তি, ‘‘মনে হচ্ছে যেন নরক থেকে স্বর্গে ফিরে এসেছি। যেন পুনর্জন্ম হল!’’

প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের বিভিন্ন জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন একাধিক মানুষ। হাসিনার কুখ্যাত জেল ‘আয়নাঘর’ থেকে মুক্তি পেয়ে ঘরে ফিরেছেন বহু রাজবন্দি। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন ইউনাইটেড পিপল্‌স ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) নেতা মাইকেল চাকমাও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement