দুর্ঘটনার দৃশ্য। ছবি: এক্স।
প্রথমে ব্যস্ত রাস্তার মাঝে বেপরোয়া গতিতে ছুটে এসে ধাক্কা একটি সাদা গাড়িতে। তার পর ইউ টার্ন। চাকায় করে এক ব্যক্তিকে টেনেহিঁচড়ে কিছু দূর নিয়ে গিয়ে ফের গাড়ির মুখ ঘুরিয়ে ছুটে এসে একই গাড়িতে ধাক্কা! পারিবারিক বিবাদের জেরে এমনই ঘটনা ঘটেছে মুম্বইয়ের ঠাণে জেলায়। ঘটনায় জখম হয়েছেন চার পথচারী।
সম্প্রতি ঘটনার একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। আর তাতেই দেখা যাচ্ছে, একটি কালো রঙের এসইউভি ধাক্কা মারছে অপর একটি সাদা গাড়িতে। তার পর গাড়ির মুখ ঘুরিয়ে ফিরে এসে আবার ধাক্কা! ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত চার জন। এমনকি এক জনকে চাকায় করে হিঁচড়ে কিছু দূর নিয়ে যায় গাড়িটি। গুরুতর জখম হয়েছেন তিনিও।
অভিযোগ, পারিবারিক বিবাদের জেরেই এমনটা ঘটিয়েছেন ওই এসইউভি চালক। ঘটনার দিন স্ত্রীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তাঁর। বিবাদ মেটাতে এগিয়ে আসেন পরিবারের অন্যান্য সদস্য। এর পর সকলে মিলে অন্য একটি গাড়িতে করে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানকে বাড়ি নিয়ে যেতে উদ্যত হন। আর এতেই রাগের মাথায় পর পর দু’বার ওই গাড়িতে ধাক্কা মেরে বসেছেন অভিযুক্ত। সে সময় গাড়িতে ছিলেন তাঁরই স্ত্রী ও সন্তান। যদিও তাঁরা অক্ষত রয়েছেন। তবে আহত হয়েছেন তিন পথচারী এবং এক বাইক আরোহী। ওই বাইক আরোহীকেই চাকায় করে কয়েক মিটার টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন এসইউভি চালক। ঘটনার পর থেকেই ফেরার অভিযুক্ত। তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে একের পর এক গাড়ি দুর্ঘটনায় এগিয়ে রয়েছে মহারাষ্ট্র। ঠাণের এই ঘটনা আবারও মনে করিয়ে দিচ্ছে তিন মাস আগের পোর্শে-কাণ্ডের ছায়া। গত ১৯ মে পুণের কল্যাণী নগরে দুই ইঞ্জিনিয়রকে পিষে দিয়েছিল একটি বিলাসবহুল পোর্শে গাড়ি। মত্ত অবস্থায় ওই গাড়ি চালাচ্ছিল এক নাবালক। একই ভাবে জুলাই মাসের শুরুতে মুম্বইয়ের ওরলিতে বিএমডব্লিউ সেডান চালিয়ে বাড়ি ফেরার সময় এক আরোহীকে পিষে দেন মহারাষ্ট্রের শাসক জোটের সদস্য শিন্ডেসেনা নেতার পুত্র মিহির শাহ। এখনও সে সব ঘটনার তদন্ত চলছে।