প্রতীকী ছবি।
কাজের খোঁজে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনী গিয়েছিলেন আদিবাদী এক মহিলা। কিন্তু সেখানে তাঁকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীদের হাত থেকে বাঁচতে অর্ধনগ্ন অবস্থায় দেড় কিলোমিটার ছুটলেন তিনি। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মধ্যপ্রদেশের ডিন্ডোরির বাসিন্দা ওই মহিলা অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের। স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার কাজের খোঁজে উজ্জয়িনী যান। কাজ খুঁজতে খুঁজতে তাঁরা ইন্দিরানগরে পৌঁছন। রাস্তায় তখন রতনলাল নামে এক বাইকচালকের সঙ্গে তাঁদের সাক্ষাৎ হয়। অভিযোগ, রতন তাঁদের কাজ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দেন। কাজ দেওয়ার নাম করে দম্পতিকে বাইকে চাপিয়ে তাজপুরের পিপলিয়া বিছিয়া গ্রামে নিয়ে যান রতন।
সেখানে ক্ষেতের মধ্যে একটি বাড়ি রয়েছে। সেই বাড়িতে দম্পতিকে রাখেন। মহিলাকে ঘর পরিষ্কারের কাজ দেন। আর তাঁর স্বামীকে বাজার করতে পাঠান। রতন এবং মহিলার স্বামী চলে যাওয়ার পর ওই বাড়িতে রতনের এক সঙ্গী আসেন। অভিযোগ, ইমরান নামে ওই ব্যক্তি মহিলাকে ধর্ষণ করেন। মহিলার স্বামীকে বাজারে ছেড়ে দিয়ে কিছু ক্ষণ পর রতনও ফিরে আসেন ওই বাড়িতে। অভিযোগ, তিনিও ধর্ষণ করেন। এর পরই মহিলা বিবস্ত্র অবস্থায় ঘর ছেড়ে পালিয়ে যান। দেড় কিলোমিটার ধরে ওই ভাবেই ছুটতে থাকেন। স্থানীয়রা মহিলার সাহায্যে এগিয়ে আসেন। তাঁর কাছ থেকে গোটা ঘটনা শুনে স্থানীয়sরাই পুলিশে খবর দেন।
এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। রতন এবং তাঁর সঙ্গী ইমরানের খোঁজ চালাচ্ছে তারা। এই ঘটনায় হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে গোটা মধ্যপ্রদেশে।