রথযাত্রার প্রাক্কালে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্নানযাত্রার অনুষ্ঠান রবিবারেই সম্পন্ন হয়েছে পুরীতে। —ফাইল চিত্র।
জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রার ব্যস্ততার মধ্যেও পুরীমুখী এবং পুরী থেকে ঘরমুখী পুণ্যার্থী ও পর্যটকদের ছন্দ অনেকটাই বিপর্যস্ত করে দিয়েছে বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনা। বিভিন্ন ট্রেন বাতিলের ফলে ঘরে ফেরার দুর্ভাবনা ঘিরে ধরেছে পর্যটকদের। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক না-হলে রথযাত্রার আগে পুরী ছন্দে ফিরবে না, এমনটাই মনে করছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা।
এই দুঃসময়ে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের ঘোষণায় কিছুটা ধড়ে প্রাণ পেয়েছেন শ্রীক্ষেত্রের পর্যটকেরা। রেললাইন এখনও অগম্য। তাই রবিবার রাতে জগন্নাথধামের গুণ্ডিচা মন্দিরের কাছ থেকে কলকাতায় ফেরার বাস ধরতে হুড়োহুড়ি দেখা গেল। ভুবনেশ্বর ও কটক থেকেও কলকাতায় ফেরার নিখরচার বাস পরিষেবা ঘোষণা করা হয়েছে উৎকল প্রশাসনের তরফে।
রথযাত্রার প্রাক্কালে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্নানযাত্রার অনুষ্ঠান রবিবারেই সম্পন্ন হয়েছে পুরীতে। কিন্তু রেল-সংযোগ বন্ধ থাকায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনেকেই এসে পৌঁছতেও পারেননি বলে জানান হোটেল-মালিকেরা। নিরুপায় হয়ে অনেকেই গাড়িতে বাড়তি খরচ করে ফেরার চেষ্টাও করছেন। ট্রেনের অভাবে অনেকটাই বেড়েছে গাড়িভাড়া। যেমন, ছোট গাড়িতে ১৮ টাকা কিলোমিটার হারে এবং বড় গাড়িতে ২২ টাকা কিলোমিটার হারে লোকজন ফিরছেন কলকাতায়। দু’পিঠে মোটামুটি ১০০০ কিলোমিটার পেরোতে খরচের ধাক্কা ১৮ থেকে ২২ হাজার টাকা। স্বাভাবিক সময়ের থেকে এটা অনেকটাই বেশি বলে বিভিন্ন হোটেল সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে এর মধ্যে সাত জনে বসার গাড়িতে পর্যটকদের মধ্যে ভাগাভাগি করে খানিক সস্তাতেই কলকাতা ফেরানোর উদ্যোগও দেখা যাচ্ছে। ১০ হাজার টাকার খরচ ভাগাভাগি হয়ে যাচ্ছে ঘরমুখী পর্যটকদের মধ্যে।
পুরীর দু’টি পরিচিত হোটেলের ম্যানেজার সিদ্ধেশ্বর রায় বলছিলেন, “ইতিমধ্যে কিছুটা বাড়তি টাকা খরচ করেই অনেক পর্যটকফিরে গিয়েছেন।” কলকাতার স্কুলশিক্ষিকা সাগরিকা দাশগুপ্ত মাকে নিয়ে পুরীতে এসেছিলেন। ফিরেছেন গাড়িতে। একই ভাবে চন্দননগরের অতনু দে-ও এ দিন সন্ধ্যায় সপরিবার গাড়িতে কলকাতার দিকে রওনা হন। বিমানেও কলকাতায় ফিরেছেন কেউ কেউ।