Covid 19

Covid 19: বেপরোয়া পর্যটনই বিপজ্জনক

মাস কয়েক আগে মানালিতে পর্যটকদের ঢল উদ্বেগ বাড়িয়েছিল স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকারিকদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২১ ০৬:২৭
Share:

ফাইল চিত্র

করোনা বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে যাঁরা পুজোয় বেড়াতে যাচ্ছেন, তাঁরাই করোনার তৃতীয় ঢেউ ডেকে আনবেন বলে মনে করে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)। ঘরবন্দি দশা কাটাতে বেপরোয়া বেড়ানোর ঢল তৃতীয় ঢেউয়ের শিখর ছোঁয়াকে ৪৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে সপ্তাহ দুয়েক এগিয়ে আনবে।
মাস কয়েক আগে মানালিতে পর্যটকদের ঢল উদ্বেগ বাড়িয়েছিল স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকারিকদের। সম্প্রতি ‘জার্নাল অব ট্রাভেল মেডিসিন’-এ আইসিএমআরের একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে, পাহাড় কেন্দ্রিক পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে ভিড় নিয়ে। বলা হয়েছে, ‘‘মানালিতে ক্রমশ ভিড় বাড়ছে। একই ছবি দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং এবং অসমের পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে।’’

Advertisement

আইসিএমআরের গাণিতিক মডেল অনুযায়ী, সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক কারণে জমায়েত এবং ভ্রমণপিপাসুদের ভিড় করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ছবিটিকে আরও মারাত্মক করে তুলতে পারে। পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে ভিড় তৃতীয় ঢেউয়ের শিখরে পৌঁছনোকে ৪৭ শতাংশ পর্যন্ত ত্বরান্বিত করার সম্ভাবনা রয়েছে। ওই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে উল্লেখ, করোনার তৃতীয় ঢেউকে রুখতে পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে কোভিড-বিধি মেনে চলতে হবে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু মিছিলে শিউরে উঠেছিল দেশ। পরবর্তী সময় সংক্রমণ অনেকটাই নিম্নমুখী।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক আজ সকালে যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৩৪৬ জন। এই সংক্রমণ চিত্র দেখেই ঘরবন্দি জনতার বড় অংশ ভ্রমণে বেড়িয়ে পড়ছেন। পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে ইতিমধ্যেই বুকিং সম্পূর্ণ। গত বছর উৎসবের মরসুমের পরে বেড়েছিল করোনার দাপট। কুম্ভস্নানের পরে এসেছিল করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। অর্থাৎ, বিধি লঙ্ঘন করে ভিড় যখনই বেড়েছে তখনই নিজের শক্তি বাড়িয়েছে করোনাভাইরাস। তার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ ওনামের পরে কেরলের সংক্রমণের গতিপ্রকৃতি।
পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ সমিতির বিমা প্রকল্পে এ বার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে তথ্য রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement