তাইল্যান্ডের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুত চ্যান-ও-চা।
সংবিধান নির্দেশিত মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার পরেও মসনদ ছাড়েননি। শেষমেশ তাইল্যান্ডের শীর্ষ আদালতের রায়ে পদচ্যুত হতে হল দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুত চ্যান-ও-চাকে।
তাইল্যান্ডের প্রাক্তন সামরিক কর্তা প্রয়ুত ২০১৪ সালে একটি সামরিক অভ্যুত্থানের দ্বারা দেশের শাসনক্ষমতা দখল করেন। তার পর ২০১৯ সালে সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করে পুনর্বার ক্ষমতায় আসেন। কিন্তু বিরোধী দলগুলির তরফে অভিযোগ করা হয়, এই নির্বাচন স্বচ্ছ ছিল না।
তাইল্যান্ডের সংবিধান মোতাবেক সে দেশের প্রধানমন্ত্রীরা সর্বোচ্চ ৮ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারেন। ২০১৪ সাল থেকে ধরলে প্রয়ুতের শাসনকালের মেয়াদ চলতি বছরের শুরুতেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তিনি পদত্যাগ করতে রাজি হননি। প্রয়ুতের সমর্থকরা দাবি করেছিলেন, ২০১৭ সাল থেকে দেশে নতুন সংবিধান প্রণীত হয়েছে। সুতরাং, তার পর থেকেই তাঁর মেয়াদকাল গণনা করতে হবে।
বিরোধী দলগুলির তরফে অবশ্য বারবার বলা হয়েছে, সংবিধানের অবমাননা করছেন প্রয়ুত। সাম্প্রতিক সময়ে সংসদে বারংবার অনাস্থা প্রস্তাবের সম্মুখীন হলেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকতে দেখা গিয়েছিল তাইল্যান্ডের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীকে। প্রয়ুতের জোটসঙ্গী অন্য দলগুলিও তাঁর এই পদ আঁকড়ে থাকার সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ছিল। প্রয়ুতের প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সেখানকার সাংবিধানিক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বিরোধী দলগুলি। আদালত তার রায়ে প্রয়ুতকে তাঁর পদ থেকে অপসারণ করার নির্দেশ দিয়েছে।
আপাতত অন্তর্বর্তিকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বভার সামলাবেন সে দেশের বর্তমান উপপ্রধানমন্ত্রী, ৭৭ বছর বয়সি প্রাউইত ওংসুয়ান। তাইল্যান্ডে ২০২২ সালের মে মাসে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেটি এগিয়ে এনে চলতি বছরের নভেম্বর মাসে হতে পারে।