নিতিন গডকড়ী।
টোল প্লাজা মুক্ত হবে দেশ। বদলে গাড়ির টোল ট্যাক্স সংগ্রহ করা হবে জিপিএস ব্যবস্থার মাধ্যমে। কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী বৃহস্পতিবার সংসদে এ কথা জানিয়েছেন। নিতিন জানিয়েছেন, দেশে যত মানবচালিত টোল ট্যাক্স গ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে, সেগুলি এক বছরের মধ্যে সরিয়ে ফেলা হবে। এতে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা দেওয়ার জন্য অপেক্ষা আর করতে হবে না। বাঁচবে সময়। স্বচ্ছন্দ হবে যান চলাচল।
সড়ক পথ ব্যবহারের কর বা টোল ট্যাক্স সংগ্রহের কাজে গোটা দেশে মোট ৫৬৬টি টোল প্লাজা রয়েছে। এই হিসেব গত বছর মার্চ মাস পর্যন্ত। নিতিনের ঘোষণায় দেশের একটি মহলের উদ্বেগ, যদি এতগুলি টোল প্লাজা এক বছরের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়, তবে সেখানে চাকুরিরত কর্মীদের ভবিষ্যৎ কী হবে?
নিতিন অবশ্য লোকসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলেননি। শুধু জানিয়েছেন, জিপিএস ভিত্তিক টোল সংগ্রহের প্রক্রিয়া এক বছরের মধ্যেই কার্যকর করা হবে। এই প্রক্রিয়ায় জিপিএসের মাধ্যমে তোলা ছবির সাহায্যে টোল সংগ্রহ করা হবে।
নিতিন বলেন, ফাস্ট ট্যাগ প্রক্রিয়ায় ৯৩ শতাংশ গাড়ি টোল ট্যাক্স দিলেও বাকি ৭ শতাংশ গাড়ি এখনও টোল প্লাজাতেই টাকা মেটান। তার জন্য তাদের দ্বিগুণ কর দিতে হলেও এই ৭ শতাংশ গাড়ি ফাস্টট্যাগের স্টিকার লাগায়নি।
ফাস্টট্যাগ প্রক্রিয়া বাধ্যতামূলক হচ্ছে সে কথা জানিয়ে নিতিন এদিন বলেন, যে সমস্ত গাড়ি টোল ট্যাক্স দিচ্ছে না তাদের বিরুদ্ধে পুলিশি তদন্ত হবে। ২০১৬ সালে গাড়ির টোল দেওয়ার জন্য ফাস্টট্যাগ প্রক্রিয়া চালু হয়। ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ফাস্টট্যাগে ট্যাক্স না দিলে দ্বিগুণ কর দেওয়ার নিয়মও চালু করা হয়।