ফাইল চিত্র।
অম্বানি-আদানিদের জন্য নরেন্দ্র মোদী কাজ করছেন বলে রাহুল গান্ধী প্রায়ই অভিযোগ তোলেন। এ বার সেই আদানি গোষ্ঠীর রাজস্থানের বিদ্যুৎ প্রকল্পর জন্য ছত্তীসগঢ়ের কয়লা খনির ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে রাহুল গান্ধীকেই বৈঠকে বসতে হল দুই কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে।
আজ রাহুল দিল্লিতে রাজস্থান ও ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত ও ভূপেশ বঘেলের সঙ্গে বৈঠক করেন। রাজস্থানে আদানি গোষ্ঠীর বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য কয়লা মন্ত্রক ছত্তীসগঢ়ের পরসা কয়লা খনি বরাদ্দ করেছে। কিন্তু জঙ্গলের মধ্যে ওই এলাকায় স্থানীয় আদিবাসী, পরিবেশ কর্মীরা খননের বিরোধিতা করছেন বলে বঘেল এখনও এতে ছাড়পত্র দেননি। গহলৌত একাধিক বার সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে তাঁর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। আজ বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। বঘেল যুক্তি দেন, বিরোধীরা আদিবাসীদের ক্ষোভকে কাজে লাগালে বস্তার, সরগুজা এলাকায় কংগ্রেসকে খেসারত দিতে হবে। তবে কেউই এই প্রসঙ্গে বাইরে মুখ খোলেননি।
বৈঠকের পরে বঘেল জানান, পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন নিয়ে পর্যালোচনা হয়েছে। ২০১৭-তে দেখা গিয়েছিল, গোয়া, মণিপুরে কংগ্রেস বিধায়কদের ভাঙিয়ে বিজেপি সরকার গড়ে ফেলেছে। এ বার তার পুনরাবৃত্তি রুখতে কী রণকৌশল নেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে এআইসিসি-তে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত নেতা কে সি বেণুগোপাল, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাও হাজির ছিলেন। কংগ্রেসের সভাপতি পদ ও সাংগঠনিক নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়। ১ এপ্রিল থেকে সাংগঠনিক নির্বাচন শুরু হবে। ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়ে যাবেন।