বিজেপি-কে কটাক্ষ তৃণমূলের গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
যোগী আদিত্যনাথের ‘কর্মযজ্ঞ’ প্রকাশের বিজ্ঞাপনে দেখা যাচ্ছে কলকাতার ‘মা’ উড়ালপুলের ছবি। আর সেই ছবিকে নিয়েই কটাক্ষ শুরু করেছে তৃণমূল। দলের দাবি, কলকাতার উন্নয়নের ছবি ‘চুরি’ করে নিজের রাজ্যের বিজ্ঞাপন দিয়েছেন যোগী। বিজেপি-র ‘ডবল ইঞ্জিন’ মডেল ব্যর্থ হয়েছে বলেও দাবি করেছে তারা।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ওই বিজ্ঞাপনের ছবি প্রকাশ করে টুইটে বলেন, ‘বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যে উন্নয়ন হয়েছে সেই ছবি চুরি করে যোগী নিজের রাজ্যের উন্নয়নের কথা বলছেন। দেখে মনে হচ্ছে বিজেপি-র সবথেকে শক্তিশালী রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন মডেল মুখ থুবড়ে পড়েছে। এখন সব কিছু বাইরে আসছে।’
টুইট করেছেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও। তিনি টুইট করে বলেন, ‘এটা কি সত্যি যে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কলকাতার ছবি দেখিয়ে তাঁর সাফল্য দাবি করেছেন। যদি তেমনটা হয় তা হলে সেটা খুব লজ্জার বিষয়। অমিত মালব্যর কাছে কি আমরা এর ব্যাখ্যা পেতে পারি।’
বিধানসভা নির্বাচনের পরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরা মুকুল রায় টুইটে বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদী বিজেপি-কে বাঁচাতে গিয়ে এতটায় অসহায় হয়ে পড়েছেন যে বিভিন্ন রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীদের সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে উন্নয়নকেও চুরি করছেন।’
যোগীকে ‘ঠগ’ তকমা দিয়ে টুইট করেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। টুইটে তিনি লেখেন, ‘ঠগ যোগী উত্তরপ্রদেশের বিজ্ঞাপনে কলকাতার মা উড়ালপুল, আমাদের জে ডব্লিউ ম্যারিয়ট হোটেল ও হলুদ ট্যাক্সির ছবি দিয়েছেন। নিজেদের আত্মার বদল করুন। নইলে বিজ্ঞাপন সংস্থা বদলান।’ টুইটের শেষে মহুয়া লেখেন, ‘আশা করছি নয়ডায় এ বার আমার বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে।’
তৃণমূলের আর এক মহিলা সাংসদ মিমি চক্রবর্তী টুইটে বাংলার একটি প্রাচীন প্রবাদের কথা তুলে ধরেন। তিনি লেখেন, ‘চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা, যদি না পড়ো ধরা।’
অন্য দিকে চেতলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচার করার মাঝে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘মিথ্যাচারে বিজেপি এক নম্বরে। মা উড়ালপুল কলকাতা তথা বাংলার গর্ব। সেই উড়ালপুলকে যদি যোগী প্রণাম করতেন, অনুসরণ করতেন তা হলে আমরা বুঝতাম যে ডবল ইঞ্জিনের বুদ্ধি ফিরেছে। কিন্তু বিজেপি মিথ্যা প্রচার করছে যে মা উড়ালপুল ওঁর। যোগীর মিথ্যাচার মানুষের কাছে ফের প্রমাণিত।’’
যদিও এই পুরো বিতর্কের মাঝে বিজেপি-র দাবি এটা অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি। দলের রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বিজ্ঞাপন সংস্থা ভুল করে এটা করেছে।’’