ফাইল চিত্র।
বছর ঘুরলেই উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে যা বিজেপি-র কাছে সেমি ফাইনালের সমান। আর তার আগে যেমন বিজেপি প্রস্তুতি চালাচ্ছে, তেমনই উত্তরপ্রদেশ সরকারও। শুরু হয়েছে সরকারি প্রচার। আর তাতেই কেলেঙ্কারি কাণ্ড! যোগী আদিত্যনাথের ‘কর্মযজ্ঞ’ প্রকাশের বিজ্ঞাপনে দেখা যাচ্ছে কলকাতার ‘মা’ উড়ালপুলের ছবি। সেই ছবি যে কলকাতার, তা উড়ালপুলের পাশের একটি হোটেলের ছবি থেকেও স্পষ্ট। ভাল করে দেখলে বোঝা যায়, উড়ালপুলের উপর চলছে কলকাতার অন্যতম পরিচয় হলুদ ট্যাক্সিও।
এই সেই বিজ্ঞাপন। যা ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
মা উড়ালপুলের এই জায়গার ছবিই যোগীর বিজ্ঞাপনে। ফাইল চিত্র।
পার্ক সার্কাস ও এজেসি বোস রোডের সঙ্গে ইএম বাইপাসকে সংযুক্ত করা এই উড়ালপুলের নাম ‘মা’ রেখেছিলেন খোদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাম জমানায় এই সেতু নির্মাণ শুরু হলেও শেষ হয় তৃণমূল সরকারের আমলে। ২০১৫ সালের ৯ অক্টোবরে যার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
সেই সেতু কী করে উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিজ্ঞাপনে গেল? রবিবার বেশ কয়েকটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রে পাতা জোড়া বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়। আর তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সমালোচনায় সরব তৃণমূল। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ওই বিজ্ঞাপনের ছবি প্রকাশ করে টুইটে দাবি করেছেন, বাংলার উন্নয়নের ছবিতেই ভরসা করছে বিজেপি-র সরকার। বিজেপি-র ‘ডবল ইঞ্জিন মডেল’ ব্যর্থ হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
তবে এই ধরনের বিজ্ঞাপন সাধারণত বানিয়ে থাকে কোনও বেসরকারি সংস্থা। মনে করা হচ্ছে, এটা তাদেরই ভুল। আবার এই বিজ্ঞাপন এটাও সামনে এনে দিল যে, ইন্টারনেটের উপরে বেশি নির্ভরতা এবং সত্যতা যাচাই না করার ফল এটি। তবে এ সব যুক্তির মধ্যে একটি প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, বিজ্ঞাপনটি প্রকাশের আগে উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে দেখে নেওয়া হয়নি? কিংবা যোগী সরকারের তরফ থেকে কেন বিজ্ঞাপন প্রস্তুতকারী সংস্থাকে ছবি সরবরাহ করা হয়নি? তৃণমূল শিবির ইতিমধ্যেই ওই বিজ্ঞাপনে ‘কৃতিত্ব চুরি’ করার অভিযোগ তুলতে শুরু করে দিয়েছে।