(বাঁ দিক থেকে) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং তিপ্রা প্রধান প্রদ্যোতকিশোর দেববর্মণ। —ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গের ধূপগুড়ির মতো ত্রিপুরার জোড়া বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হবে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর। সেই ভোটে শাসক বিজেপির বিরোধী হিসাবে লড়ছে কেবল সিপিএম। কংগ্রেস তো বটেই, বামেদের খোলা সমর্থন দিয়েছে ত্রিপুরার এখানকার প্রধান বিরোধী দল তিপ্রা মথা। কিন্তু শনিবার নয়াদিল্লিতে তিপ্রা প্রধান প্রদ্যোতকিশোর দেববর্মণের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বৈঠকের পর ত্রিপুরার রাজনীতিতে তীব্র কৌতূহল তৈরি হয়েছে, কী আলোচনা হল ওই বৈঠকে! বৈঠকের ছবি নিয়ে চাপ বেড়েছে বাম মহলেও। যদিও প্রকাশ্যে তা স্বীকার করছেন না ত্রিপুরার সিপিএম নেতৃত্ব।
শনিবার রাত ১০টা পর্যন্ত শাহের সঙ্গে প্রদ্যোতের বৈঠকের কোনও ছবি টুইট করেননি তিপ্রা প্রধান তথা বুবাগ্রা (রাজ পরিবারের সন্তান)। তিপ্রা মথার এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডল থেকেও কোনও ছবি প্রকাশ করা হয়নি। প্রথম টুইট করেন বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। সম্বিতের টুইটটি রিটুইট করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
এ প্রসঙ্গে ত্রিপুরা সিপিএমের এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘‘সবটাই সাজানো। সর্বভারতীয় বিজেপি চিত্রনাট্য লেখার চেষ্টা করছে। কিন্তু নিচুতলায় মথার ভোট প্রদ্যোতের নিয়ন্ত্রণে নেই৷ তাই তিনি বৈঠকের ছবি দেখাতে চাননি।’’
গত ১৬ অগস্ট ত্রিপুরার বিরোধী দলনেতা তথা তিপ্রার শীর্ষস্থানীয় নেতা অনিমেষ দেববর্মা আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছিলেন, ধনপুর এবং বক্সনগরের উপনির্বাচনে তাঁরা প্রার্থী দেওয়া থেকে বিরত থাকছেন। অনিমেষ বলেন, ‘‘আমরা চাই বিরোধী ভোট যাতে ভাগ না-হয়। এই দুই কেন্দ্রে সিপিএমের যথেষ্ট শক্তি রয়েছে। তাই আমরা তাদের সমর্থন করব।’’
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোট হয়। ৬০টি আসনের মধ্যে বিজেপি-আইপিএফটি জোট জেতে ৩৩ আসনে। বাম-কংগ্রেস মিলে পায় ১৪টি আসন। আলাদা লড়ে তিপ্রা মথা ১৩টিতে জয়ী হয়। ধনপুর থেকে বিধানসভা ভোটে লড়ে জিতেছিলেন বিজেপির প্রতিমা ভৌমিক। প্রতিমা তার আগে থেকেই লোকসভার সাংসদ তথা কেন্দ্রের মন্ত্রী। বিধানসভায় জিতলেও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সাংসদ পদ রেখে দেন গেরুয়া শিবিরের এই নেত্রী। সেই কারণেই ধনপুরে উপনির্বাচন হচ্ছে। অন্য দিকে, বক্সনগর কেন্দ্রটি শেষ ভোটে ছিল সিপিএমের দখলে। সেখানকার বিধায়ক সামসুল হকের মৃত্যুর কারণে ওই বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে