প্রতীকী ছবি।
দুয়ারে দুয়ারে সাহায্য চাইতে গিয়েছিল উজ্জয়িনীর ধর্ষিতা কিশোরী। কিন্তু তাকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে পাশাপাশি এমনও তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে যে, তাড়িয়ে দেওয়া নয়, স্থানীয়দের অনেকেই টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন কিশোরীকে। কিশোরীকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল না কি তাড়ানো হয়নি, এই বিতর্কের মধ্যেই পুলিশের হুঁশিয়ারি প্রকাশ্যে এসেছে।
উজ্জয়িনীর পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, তদন্তে যদি দেখা যায় কিশোরীকে সাহায্য না করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, তা হলে সেই সব ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। প্রয়োজনে তাঁদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলাও হতে পারে। উজ্জয়িনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) জয়ন্ত সিংহ রাঠৌর এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সব জানার পরেও কিশোরীকে সাহায্য করেননি, এমন এক অটোচালককে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
এএসপি আরও জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি দেখা যায় আরও অনেকে ওই কিশোরীকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি, অথবা কিশোরীর ওই পরিস্থিতি দেখেও পুলিশকে খবর দেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেটি পকসোও হতে পারে। এএসপি জানিয়েছেন, যে অটোচালককে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাঁর নাম রাকেশ মালবীয়। তাঁর অটোতে করে কিশোরীকে নিয়ে গিয়েছিলেন রাকেশ। অটোতে রক্তের দাগও মিলেছে। সব জানার পরেও রাকেশ পুলিশকে কিছু জানাননি বলে দাবি এএসপির।
যাঁরা সাহায্য করেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পুলিশের যে সিদ্ধান্ত, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে এর একটি বিপরীত ছবিও দেখা গিয়েছে। কিশোরীকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন এক পুরোহিত। কিশোরীকে রক্ত দেন দুই পুলিশকর্মী।