পুলিশ আধিকারিক অজয় বর্মা।
উজ্জয়িনীর ধর্ষিত কিশোরীকে দত্তক নিতে ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন এক পুলিশ আধিকারিক। তিনি জানান, কিশোরীর পরিবার চাইলে তিনি ওর শিক্ষা, স্বাস্থ্য-সহ সব রকম দায়িত্ব নিতে চান। নিজের কন্যার মতো ওকে আগলে রাখতে চান। বছর বারোর কিশোরীর ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে গত পাঁচ দিন ধরে শোরগোল চলছে মধ্যপ্রদেশে। ইতিমধ্যেই এক অটোচালককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উজ্জয়িনীর নির্যাতিত কিশোরীকে দত্তক নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন শহরের মহাকাল থানার ইনস্পেক্টর অজয় বর্মা। এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “কিশোরীর চিৎকার, ওর পরিস্থিতি দেখে আমি শিউরে উঠেছিলাম। তখনই আমি স্থির করি, কিশোরীর সম্পূর্ণ নিরাপত্তার দায়িত্ব নেব। ওকে দত্তক নেব। কিন্তু দত্তক নেওয়ার প্রক্রিয়া আমার জানা নেই। কিন্তু ওর শিক্ষা, স্বাস্থ্য-সব সব রকম দায়িত্ব নিতে রাজি।”
উজ্জয়িনীর পুলিশ সুপার সচিন শর্মা জানিয়েছেন, ইনস্পেক্টর অজয় বর্মা কিশোরীকে দত্তক নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। যদি ওর পরিবার অনুমতি দেয়, তা হলে কিশোরীর দেখাশোনার সমস্ত দায়িত্ব নেবেন ইনস্পেক্টর বর্মা। ইনস্পেক্টর জানিয়েছেন, কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হচ্ছে। স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগোযোগ করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে কথাও হয়েছে। শুধু পরিবারের অনুমতির অপেক্ষা। তার পরই দত্তক নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
গত সোমবার উজ্জয়িনীর রাস্তায় এক কিশোরীকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় ঘুরতে দেখা গিয়েছিল। তাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। সাহায্যের জন্য দুয়ারে দুয়ারে ঘুরলেও কেউ এগিয়ে আসেননি বলেও অভিযোগ উঠছে। যা নিয়েও বিস্তর আলোচনা, সমালোচনা হচ্ছে। যদিও পুলিশের দাবি, স্থানীয়দের অনেকেই টাকা দিয়ে কিশোরীকে সাহায্য করেছিলেন।