National news

বাস্তবের র‌্যাঞ্চোর ভরসা হয়ে উঠতে চাকরি ছেড়ে লাদাখে পড়ে আছেন ইনি

একটা হোয়াটসঅ্যাপেই সব ছেড়ে দিয়ে আজ তিনি লাদাখে। লাদাখকে শিক্ষিত করে তুলতে সোনম ওয়াংচুকের অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছেন তিনি।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৯ ১০:২৩
Share:
০১ ১০

ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, নৃত্যশিল্পী এবং ব্যবসায়ী। এক সঙ্গে এতগুলো পরিচয় বহন করতেন গীতাঞ্জলি। অথচ একটা হোয়াটসঅ্যাপেই সব ছেড়ে দিয়ে আজ তিনি লাদাখে। লাদাখকে শিক্ষিত করে তুলতে সোনম ওয়াংচুকের অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছেন তিনি।

০২ ১০

সোনম ওয়াংচুকের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে। যিনি আমির খানের সেই বিখ্যাত ফিল্ম ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর প্রধান চরিত্রের অনুপ্রেরণাও। লাদাখে সমাজসেবামূলক কাজের জন্য ২০১৮-তে রমন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

Advertisement
০৩ ১০

২০১৮ সালে সোনম বরফে মোড়া হিমালয়ের কোলে ‘হিমালয়ান ইনস্টিটিউট অফ অলটারনেটিভস’ নামে এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। উদ্দেশ্য, শুধুমাত্র পুঁথিগত বিদ্যা নয়, হাতেকলমে ছাত্রদের জীবন ধারণের পাঠ শেখানো। বর্ণময় জীবন ছেড়ে সেই কাজেই সোনমের ভরসা হয়ে উঠেছেন গীতাঞ্জলি।

০৪ ১০

ওড়িশার বালাসোরে একটা পঞ্জাবি পরিবারে জন্ম গীতাঞ্জলির। দেশভাগের সময় গীতাঞ্জলির বাবা লাহৌর থেকে চলে এসেছিলেন। পদার্থবিদ্যায় স্নাতক গীতাঞ্জলি ভুবনেশ্বরের জেভিয়ার্স ম্যানেজমেন্ট স্কুল থেকে এমবিএ করেন। তারপর ৬ বছর তিনি কর্পোরেট হাউসে কাজ করেছেন। চাকরি সূত্রে বিদেশেও ছিলেন।

০৫ ১০

চাকরি সূত্রে ডেনমার্কে থাকাকালীন তিনি একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম, এবং একটা প্রকাশনী সংস্থা তৈরি করেন। দেশে ফিরে পুদুচেরীর একটা হাসপাতালের সঙ্গেও যুক্ত হন গীতাঞ্জলী। ২০১৫ সালে চেন্নাইয়ে তৈরি হয় কেমব্রিজ স্কুল। এই স্কুলের হাত ধরেই তাঁর শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রবেশ। ওই স্কুলে শিক্ষকতা করতেন গীতাঞ্জলি।

০৬ ১০

একটা সময় এমন ছিল যখন, সোমবার থেকে শুক্রবার স্কুল পরিচালনা করতেন গীতাঞ্জলি, আর তারপর পুদুচেরীতে ফিরে শুরু হত হাসপাতালের দেখাশোনা।

০৭ ১০

তবে এত কিছু করেও কিন্তু নিজেকে নিয়ে প্রসন্ন হতে পারছিলেন না গীতাঞ্জলি। বারবারই শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর আরও কিছু করার ইচ্ছা চেপে বসছিল। কিছু একটার অভাব বোধ করছিলেন। কী করলে যে তাঁর এই অভাব কাটবে তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না।

০৮ ১০

সোনমের সঙ্গে তাঁর পরিচয় আগে থেকেই ছিল। ২০১৭ সালে মুম্বইয়ে একটি অনুষ্ঠানে দু’জনের পরিচয় হয়েছিল। তার কিছু দিন পরই গীতাঞ্জলির হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ আসে। তাতে হিমালয়ান ইনস্টিটিউট অফ অলটারনেটিভস গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা সোনম তাঁকে জানান। হোয়াটসঅ্যাপ পড়ে দু’বার ভাবতে হয়নি গীতাঞ্জলিকে। তিনি যেন খুঁজে পেয়ে যান তাঁর জীবনের আসল গন্তব্য।

০৯ ১০

ব্যাগ গুছিয়ে নিজের কেরিয়ার জলাঞ্জলি দিয়ে বেরিয়ে পড়েন লাদাখের উদ্দেশে। ঘুরে ঘুরে তহবিল জোগাড় করে এবং লোকজনকে সচেতন করে দু’জনে শুরু করে দেন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির কাজ।

১০ ১০

৪৬ বছরের গীতাঞ্জলি কী বলছেন? ‘ছোট থেকে দুটো বিষয় শিখে বড় হয়েছি। বিশ্বাস এবং স্বাধীনতা। আমার স্বাধীনতায় কোনওদিন বাড়ি থেকে হস্তক্ষেপ হয়নি।’ সেই স্বাধীনতা এবং বিশ্বাসে ভর করেই আজ তিনি সোনমের ভরসা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement