পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাচ্ছেন মহিলারা। ছবি: সংগৃহীত।
বেশ কয়েক দিন ধরেই গ্রামে চুরি হচ্ছিল। মাঝরাতে ঘরে ঢুকে টাকা, মোবাইল, বাসন চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিল। একাধিক ঘরে পর পর চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। কিছুতেই চোরকে হাতেনাতে ধরতে না পেরে শেষমেশ পুলিশের দ্বারস্থ হন গ্রামের মহিলারা। কিন্তু পুলিশ তাঁদের অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছেন বলে দাবি মহিলাদের।
এর পরই মহিলারা থানা ঘেরাও করে চোরকে ধরার জন্য বিক্ষোভ দেখান। অভিযোগ, তখন থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এসে এক মহিলাকে বলেন, “জিনিস চুরির জন্য নয়, তোমার মেয়ের জন্য ঘরে বার বার আসছে চোর!” পুলিশ আধিকারিকের এই ধরনের কথা শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের হাপুড় জেলার ভোবাপুর গ্রামের।
গ্রামের মহিলাদের অভিযোগ, পিলখুয়া থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশকর্মীরা অভব্য আচরণ করেন। এক বয়স্ক মহিলা বলেন, “৮ দিন আগে আমার পুত্রের মৃত্যু হয়েছে। নাতি হাসপাতালে ভর্তি। বাড়িতে বিশেষ লোকজন না থাকায় চোর এসে নগদ টাকা, গয়না চুরি করে নিয়ে গিয়েছে। এখন আমি কী ভাবে নাতির চিকিৎসা করাব।”
পুলিশ কোনও পদক্ষেপ না করায় জেলাশাসককে অভিযোগ জানানোর প্রস্তুতি নেন মহিলারা। অভিযোগ, জেলাশাসকও তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে অস্বীকার করেছেন। এর পরই মহিলারা ন্যায়বিচারের দাবিতে ধর্নায় বসেন। মহিলাদের ধর্না থেকে সরানোর জন্য পিলখুয়ার সার্কল অফিসার (সিও) ভোবাপুর গ্রামে যান। দ্রুত চোর ধরার আশ্বাস দেন তিনি।