সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
পতঞ্জলি মামলার সূত্রে এ বার আইএমএ-কেও (ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন) কড়া বার্তা দিল সুপ্রিম কোর্ট। কোভিডের ওষুধ নিয়ে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন এবং অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসাপদ্ধতি নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্যের দায়ে আদালতের কাছে তিরস্কৃত হয়েছিল পতঞ্জলি সংস্থা। সম্প্রতি তারা বড় করে খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। আজ বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লার বেঞ্চ তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। বিশেষত বিজ্ঞাপনে যে ভাবে বাবা রামদেবের নামও উল্লেখ করা হয়েছে, তাতে আদালত খুশি।
বিচারপতিরা বলেছেন, ‘‘দৃশ্যতই উন্নতি হয়েছে। ওঁরা বুঝতে পেরেছেন। আমরা সেটার সমাদর করছি।’’ পাশাপাশি এ দিন আদালতের রোষের মুখে পড়ে উত্তরাখণ্ড সরকার এবং খোদ আইএমএ, যারা পতঞ্জলির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিল। উত্তরাখণ্ড সরকারের লাইসেন্স দফতরের সমালোচনা করে আদালত বলেছে, তাদের দিক থেকে দীর্ঘ নিষ্ক্রিয়তা দেখা গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের ১০ এপ্রিলের নির্দেশের পরে তারা নড়ে বসেছে। অন্য দিকে আইএমএ-র প্রতি আদালতের ক্ষোভের উৎস হয়ে ওঠে সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এ আইএমএ-র ডিরেক্টর ভি অশোকানের একটি সাক্ষাৎকার। আইএমএ-র ভূমিকা এবং ডাক্তারদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ওই সাক্ষাৎকারে অশোকান কিছু নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘এটা সুপ্রিম কোর্টের দেখার বিষয় ছিল না। চিকিৎসক সমাজের প্রতি বিরূপ মন্তব্য করা সুপ্রিম কোর্টের দায়িত্ব নয়।’’ আইনজীবী মুকুল রোহতগিকে ওই সাক্ষাৎকারটি আদালতের রেকর্ডভুক্ত করতে বলে বিচারপতিরা বলেন, ‘‘ওটা রেকর্ডে আনুন এবং এর পরিণামের জন্য প্রস্তুত থাকুন। এত দিন যা চলছিল, এ বার ব্যাপারটা তার থেকেও সিরিয়াস হতে চলেছে।’’ আইএমএ-র প্রতি আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘‘এটা (এই সাক্ষাৎকার) যদি সত্যি হয়, তা হলে বলব, আদালতের কী করা উচিত, সেটা ঠিক করে দেওয়ার আপনারা কে? নিজেদের মহিমান্বিত করার মতো কোনও কাজ আপনারা করেননি।