নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী জন ওষধি যোজনার কারণে জীবনদায়ী ওষুধের দাম কমেছে এবং মধ্যবিত্ত ও গরিবদের সাশ্রয় হয়েছে বলে দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে ওই দাবির পর বিরোধীদের পাল্টা প্রশ্ন, এ মাস থেকে প্রায় ৮০০টি জীবনদায়ী ওষুধের দাম যে কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে সেই খবর কি প্রধানমন্ত্রী রাখেন?
গত দু’বছর ধরে করোনার একের পর ঢেউ আছড়ে পড়েছে বিশ্বে। কেন্দ্রের দাবি, এই পরিস্থিতিতে দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে আগের চেয়ে উন্নত করেছে ভারত। দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নত করা ও কম খরচে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার লক্ষ্যে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু করা হয়েছে বলে জানান মোদী। লেখেন, ‘‘বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্বাস্থ্য পরিষেবা যোজনা ‘আয়ুষ্মান ভারত’ এ দেশে চালু হয়েছে। যা প্রত্যেক দেশবাসীর জন্য গর্বের।’’ পাশাপাশি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত শিক্ষার ক্ষেত্রেও স্থানীয় ভাষায় পড়ার সুযোগ করে দেওয়ায় বহু পড়ুয়া সুফল পাচ্ছেন বলে দাবি মোদীর।
মোদীর ওই দাবির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। ১ এপ্রিল থেকে আমদানি শুল্কে ছাড় তুলে নেওয়ায় প্রায় ৮০০টি জীবনদায়ী ওষুধের দাম বেড়ে গিয়েছে। শুল্কে ছাড় তুলে দেওয়ার ফলে ক্যানসার, ডায়াবিটিস, পারকিনসন্স, হার্ট ও কিডনির অসুখ ও নারীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রায় সব ওষুধের দাম বেড়ে গিয়েছে। ন্যাশনাল ফার্মা প্রাইসিং অথরিটি জানিয়েছে, পাইকারি মূল্য সূচকে অন্তত দশ শতাংশ দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী কী ভাবে ওষুধের দাম কমেছে বলে দাবি করেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তাঁর কথায়, ‘‘পেট্রোপণ্য ,গ্যাসের দাম বৃদ্ধির পরে এ বার মানুষের সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার উপরে কোপ দিয়েছে এই সরকার।’’ একই সুরে কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘ফি দিন জিনিসের দাম বাড়ছে। এর উপরে ওষুধের দাম বৃদ্ধি পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলবে।’’ সরকারের যুক্তি, মোদীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্প সফল করতে দেশে ওষুধের উৎপাদন বাড়িয়ে সাবলম্বী হওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে ভারত।