প্রতীকী ছবি।
ব্রেকিং নিউজ!
এই মুহূর্তের শিরোনাম— নোটবন্দির পর দুর্নীতিমুক্ত হল দেশ। প্রধানমন্ত্রীর স্বচ্ছতা অভিযানের ডাকে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এলেন নীরব মোদী। সব দেশবাসীর অ্যাকাউন্টে এসে গিয়েছে ১৫ লক্ষ করে টাকা। বছরে মিলছে দু’কোটি চাকরি। সব শহর এখন ‘স্মার্ট সিটি’। গঙ্গার জল এত স্বচ্ছ, ডুব দিলেই মোদীর ছবি দেখা যায়!
আজ সাত সকালে এমন খবরে হকচকিয়ে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদীর দলের নেতারা। ঘোর ভাঙার আগেই দেখেন, বিভিন্ন শহরে অনেক বেকার যুবক নেমে পড়েছেন ‘ফেকু দিবস’ পালনে। আর ‘ব্রেকিং নিউজ’-এর নামে একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। বেলা গড়াতেই এগিয়ে এলেন বিজেপির মুখপাত্রেরা— ‘‘হচ্ছেটা কী? রাহুল গাঁধী রাজনীতির গুরুত্বই কমিয়ে দিচ্ছেন!’’ হাসিমুখে কংগ্রেস নেতাদের জবাব, ‘‘আজ তো এপ্রিল ফুল। বিজেপির গোসা হওয়ার কী আছে? প্রধানমন্ত্রী তো চার বছর ধরে রোজ বোকা বানান। কংগ্রেস তাই আজ ‘জুমলা রাজা’র মুখোশ খুলে ‘জুমলা দিবস’ পালন করছে। যিনি একের পর এক প্রতিশ্রুতিই দিয়ে গিয়েছেন। কাজের কাজ কিচ্ছুটি করেননি।’’
গত বছর পর্যন্তও পয়লা এপ্রিলে রাহুল গাঁধীকেই বিদ্রুপ করে যেত বিজেপি। সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকত বিজেপিরই দাপট। কিন্তু এ বার যে পাশা উল্টে দেবে কংগ্রেস, ভাবতে পারেনি বিজেপি। রাহুলের দল ‘এপ্রিল ফুল’কে সকাল সকাল কব্জা করে নেওয়ার পর নড়েচড়ে বসে বিজেপি। বিকেল গড়াতে তারাও পাল্টা ভিডিয়ো তৈরি করে। নিশানায় সেই রাহুল। তাতে দেখানো হয়, গত দেড় দশক ধরে যতবার রাহুলকে ‘লঞ্চ’ করার চেষ্টা হয়েছে, ততবারই বিফল হয়েছে। আর একটি প্রজন্ম শুধু রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বের অপেক্ষায় বড় হয়ে গেল, রাহুল হলেন না। আজ আসলে ‘পাপ্পু দিবস’— রাহুল গাঁধীরই দিন।
কিন্তু বিজেপি আসরে যতক্ষণে নেমেছে, ততক্ষণে বাজিমাত করে ফেলেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের নেতা সচিন পায়লটের কথায়, ‘‘বিজেপি কোনও ভুল করলে আজও কংগ্রেসকে দোষারোপ করে। অথচ কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকারের চার বছর হতে চলল। জবাবদিহি তো তাদেরই করতে হবে। ‘অচ্ছে দিন’ কি এসেছে? এই প্রশ্নই তো করা হচ্ছে, তার উত্তর কোথায়?’’