Parliament Security Breach

লোকসভায় ঢোকার সময় কী ভাবছিলেন? সাগরদের মন বুঝতে মরিয়া দিল্লি পুলিশ, কী ভাবে হবে পরীক্ষা?

লোকসভায় রংবোমা নিয়ে ঢুকে ঠিক কী করতে চেয়েছিলেন সাগর শর্মা, মনোরঞ্জন ডি-রা? দিল্লি পুলিশ তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের পরীক্ষা করানোর বন্দোবস্ত করেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:০৫
Share:

সংসদে হানার ঘটনায় ধৃত অভিযুক্তেরা। —ফাইল চিত্র।

লোকসভায় রংবোমা নিয়ে হানার পর কেটে গিয়েছে ন’দিন। সাগর শর্মা, মনোরঞ্জন ডি, নীলম আজাদ, অমল শিন্ডেরা এখনও দিল্লির পুলিশের হেফাজতে। তাঁদের মন বুঝতে এ বার মানসিক পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেন সংসদে হানা দিলেন তাঁরা, কী চিন্তা করছিলেন, হানার নেপথ্যে আসল উদ্দেশ্য কী ছিল, সবই পরিষ্কার হবে ওই পরীক্ষায়। ইতিমধ্যে ধৃতদের মধ্যে এক জনকে মানসিক পরীক্ষার জন্য ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকিদেরও এক এক করে পরীক্ষা করানো হবে।

Advertisement

সংসদে হানার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। সাগর, নীলমরা ছাড়াও পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন ললিত ঝা এবং মহেশ কুমাওয়াত। এই ছ’জনেরই মানসিক পরীক্ষা (সাইকোলজিক্যাল টেস্ট) করানো হবে।

মানসিক পরীক্ষার জন্য মনোবিদদের মুখোমুখি হবেন ধৃতেরা। তাঁদের বেশ কিছু প্রশ্ন করা হবে। সেই উত্তর শুনেই ধৃতদের মনের ধারণা পাওয়া যাবে। সেখান থেকেই বোঝা যাবে, ঠিক কী ধরনের ভাবনাচিন্তা করে সংসদে রংবোমা হানার পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁরা। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে মনোবিদদের এই প্রশ্নোত্তর পর্ব চলবে।

Advertisement

এর আগে শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যাকাণ্ডে ধৃত আফতাবের এই মানসিক পরীক্ষা করিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। সংসদ হানার ঘটনায় ধৃতেরা ইতিমধ্যেই পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁরা বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছিলেন। মণিপুর হিংসা, দেশ জুড়ে বেকারত্ব, কৃষক সমস্যা প্রভৃতির প্রতি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সমাধানের রাস্তা খোঁজার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু পুলিশ জানিয়েছে, সব রকম সম্ভাবনাই তারা খতিয়ে দেখছে।

গত ১৩ ডিসেম্বর রংবোমা নিয়ে লোকসভার কক্ষে ঢুকে পড়েন সাগর এবং মনোরঞ্জন। বেঞ্চ থেকে বেঞ্চে লাফিয়ে লাফিয়ে ছুটে বেড়ান তাঁরা। ছড়িয়ে দেন হলুদ ধোঁয়া। সাংসদেরাই তাঁদের ধরে ফেলেন এবং তুলে দেন নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে। সংসদের বাইরে থেকে একই সময়ে গ্রেফতার করা হয় নীলম এবং অমলকেও। এর পরের দিন ললিত দিল্লির পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তিনিই গোটা বিষয়টি পরিকল্পনা করেছিলেন। তারও পরে ধরা পড়েন মহেশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement