বিলাবল ভুট্টো জারদারি। ছবি: সংগৃহীত।
প্রায় ১২ বছর পরে ভারতে আসার কথা পাকিস্তানের কোনও বিদেশমন্ত্রীর। তার ঠিক আগেই জম্মুতে জঙ্গি হামলায় ৫ সেনার মৃত্যু দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও তিক্ত করে তুলতে পারে বলে মত কূটনীতিকদের একাংশের।
গত কাল জম্মুর ভিম্বের গলি ও পুঞ্চের মধ্যে ভাট্টা ধুরিয়াঁ এলাকায় জঙ্গি হামলায় তিন জন পাকিস্তানি জঙ্গি জড়িত ছিল বলে আজ সেনা সূত্রে দাবি করা হয়েছে। কূটনীতিকদের মতে, এর ফলে ফের পাকিস্তান থেকে জঙ্গি অনুপ্রবেশে মদত নিয়ে সুর চড়াতে পারে দিল্লি।
২০১১ সালে ভারত সফরে এসেছিলেন তৎকালীন পাক বিদেশমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার। তার পরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নানা উত্থানপতনের জেরে ভারতে পা রাখেননি কোনও পাক বিদেশমন্ত্রী। মে মাসের গোড়ায় গোয়ায় শাংহাই রাষ্ট্রগোষ্ঠীর বিদেশমন্ত্রী সম্মেলনে অবশ্য পাকিস্তান-সহ সব সদস্য দেশকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত। ঘটনাচক্রে গত কালই পাক বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো জারদারি এই সম্মেলনে যোগ দেবেন। বিলাবল অবশ্য স্পষ্ট করে দিয়েছেন এই সফরকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নিরিখে দেখা ঠিক নয়। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমরা শাংহাই রাষ্ট্রগোষ্ঠীর সনদ মেনে চলি। ওই রাষ্ট্রগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্কের প্রেক্ষিতেই এই সফরকে বিচার করতে হবে।’’
গত কালের হামলায় এখনও ভারতের তরফে সরাসরি পাকিস্তানের দিকে আঙুল তোলা হয়নি ঠিকই। কিন্তু আজ সেনা সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ঘটনায় পাঁচ জন জঙ্গি জড়িত ছিল। তাদের মধ্যে তিন জন পাকিস্তানি। ভাট্টা ধুরিয়াঁয় সেনার ট্রাক লক্ষ্য করে ৭.৬২ মিলিমিটার ‘স্টিল কোর বুলেট’ ছুড়েছে জঙ্গিরা। এই গুলি সেনা ট্রাকের বুলেটপ্রুফ বর্ম ভেদ করতে পারে। সেই সঙ্গে জঙ্গিরা রকেট প্রপেলড গ্রেনেড ছুড়েছিল বলে দাবি সেনার। সম্ভবত তার ফলেই ট্রাকে আগুন ধরে যায়। জঙ্গিরা রাস্তার পাশের জঙ্গলে ও খাদে লুকিয়ে সেনা ট্রাকের জন্য অপেক্ষা করছিল বলে ধারণা বাহিনীর।
গত কালের হামলায় নিহত পাঁচ সেনার মধ্যে চার জনই পঞ্জাবের বাসিন্দা। সেনার ১৬ নম্বর কোরের তরফে জানানো হয়েছে, হাবিলদার মণদীপ সিংহ, ল্যান্স নায়েক কুলবন্ত সিংহ, জওয়ান হরকিষেণ সিংহ ও সেবক সিংহের বাড়ি পঞ্জাবে। ল্যান্স নায়েক দেবাশিস বাসওয়াল ওড়িশার বাসিন্দা।
আততায়ীদের খোঁজে এখনও মেন্ধর মহকুমায় তল্লাশি চালাচ্ছে বাহিনী। সেই সঙ্গে তদন্তের জন্য ওই এলাকায় গিয়েছে এনআইএ-র একটি দল।