ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতা চলছে গুজরাতে। ছবি: সংগৃহীত।
পুরনো অহমদাবাদে এখন ‘ছাদ পর্যটন’-এর রমরমা। নতুন এই ব্যবসা ঘিরে উন্মাদনা আর কৌতূহলও তুঙ্গে। মূলত ঘুড়ি উৎসবকে কেন্দ্র করেই এই পর্যটনের জন্ম। মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুড়ির প্রতিযোগিতা হয়। মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে গুজরাতেও দু’দিন ধরে এই প্রতিযোগিতা হয়।
তবে পুরনো আহমদাবাদে এই প্রতিযোগিতা বেশ জনপ্রিয়। প্রতি বছরই এই জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকায় প্রতিযোগীর সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে। কিন্তু প্রতিযোগিতার জায়গার অভাব পড়তেই শুরু হয়ে গিয়েছে ‘ছাদ পর্যটন’। ১৪ এবং ১৫ জানুয়ারি এই দু’দিন ধরে চলবে ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতা। তাই সেই প্রতিযোগিতা উপভোগ করতে পুরনো অহমদাবাদে নিজেদের ছাদ ভাড়া দিচ্ছেন অনেকেই।
শুধু সেই প্রতিযোগিতা উপভোগের জন্যই নয়, প্রতিযোগীদের জন্যও ছাদ ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। আর এই প্রতিযোগিতাকে ঘিরেই ‘ছাদ পর্যটন’-এর ব্যবসা আড়ে-বহরে বাড়তে শুরু করেছে। এর জন্য অগ্রিম বুকিংও করতে হচ্ছে। এই পর্যটনকে কেন্দ্র করে এজেন্টদের রমরমাও বাড়ছে সেখানে। প্যাকেজ হিসাবে এই পর্যটনকে মেলে ধরা হচ্ছে। সেই প্যাকেজে অতিথিদের দেওয়া হচ্ছে নানা রকম তরল পানীয়, মুখরোচক খাবার। ব্যবস্থা করা হচ্ছে গানের। থাকছে গা-হাত-পা মাসাজ করার লোকও। কয়েক বছর আগে এই পর্যটন শুরু হয়। তবে তখন এত জনপ্রিয়তা পায়নি। ছোট ছোট পরিসরে এই পর্যটনের আয়োজন করা হত। কিন্তু সম্প্রতি এই পর্যটনের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। শুধু গুজরাতের বাসিন্দারাই নন, মহারাষ্ট্র এবং অন্য রাজ্য থেকেই এই পর্যটনে শামিল হচ্ছেন।
গুজরাতে ঘুড়ি অন্যতম বড় ব্যবসা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, দেশের ৪০ শতাংশ ঘুড়ি তৈরি হয় এই রাজ্যে। ঘুড়ি ওড়ানোর জন্যও পুরনো অহমদাবাদ বেশ জনপ্রিয় ওই রাজ্যে। সেখানে ৪০০-৫০০টি এমন ছাদ রয়েছে যেগুলি পর্যটনের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়। মকর সংক্রান্তির দু’দিনে এই পর্যটন থেকে এক এক জন বাড়ির মালিক এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করেন বলে স্থানীয় সূত্রের দাবি।