প্রতীকী ছবি।
আগামী সোমবার থেকে রাজ্যের সমস্ত ধর্মস্থান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল মহারাষ্ট্র সরকার। দেশের সবচেয়ে করোনা প্রভাবিত রাজ্য মহারাষ্ট্র। সেখানে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মেনে মন্দির-সহ সব উপাসনালয় খোলা হবে বলে সে রাজ্যের সরকার জানিয়েছে। মার্চ মাসে লকডাউন শুরুর পরেই মহারাষ্ট্র সরকার সব ধর্মস্থান বন্ধ করে দিয়েছিল।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে সম্প্রতি রাজ্যবাসীকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘‘আপনাদের জন্য সুখবর অপেক্ষা করছে। শীঘ্রই আমরা রাজ্যের সমস্ত ধর্মীয় উপাসনালয় খোলার ব্যবস্থা করব।’’ করোনা সংক্রান্ত সুরক্ষাবিধি মেনে দীপাবলির পরে রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি খোলার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি।
সরকারি সূত্রের খবর, আনলক পর্বের সুরক্ষাবিধি মেনে মন্দির-সহ বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয় খোলার প্রস্তাবে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারি পত্রপাঠ সায় দিয়েছেন। গত মাসে রাজ্যপাল স্বয়ং উদ্ধবকে চিঠি লিখে মন্দির খোলার ‘পরামর্শ’ দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী ধর্মনিরপেক্ষ হয়ে গিয়েছেন কি না, তা নিয়েও খোঁচা দিয়েছিলেন। জবাবে উদ্ধব লিখেছিলেন, ‘‘আমি হিন্দু কি না, সে বিষয়ে কারও শংসাপত্রের প্রয়োজন নেই।’’ প্রসঙ্গত, সে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিও মন্দির খোলার দাবি তুলেছিল।
আরও পড়ুন: লাদেনের আত্মীয় আল মাসরিকে মেরেছে ইজরায়েল, দাবি আমেরিকার রিপোর্টে
উপাসনালয় খোলার প্রতিশ্রুতি পালন করলেও উদ্ধব আগেই জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সাধারণ আচরণবিধি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর) কঠোর ভাবে বলবৎ করা হবে। কারণ, ধর্মস্থানগুলির দর্শনার্থীদের বড় অংশই প্রবীণ। যাঁদের করোনাভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি। থাকবে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার ব্যবস্থাও। তাই মাস্ক ছাড়া ধর্মস্থানে ঢুকলেই জরিমানার ব্যবস্থা করছে মহারাষ্ট্র সরকার। পাশাপাশি, উপাসনালয়গুলি খোলা হলেও বড় ধর্মীয় জমায়েত বা অনুষ্ঠানের উপর নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখা হবে।