প্রতীকী ছবি।
হাথরস কাণ্ডের বীভৎসতায় এখনও শিউরে উঠছে গোটা দেশ। এর মধ্যেই ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় এক কিশোরী পরিচারিকাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল তেলঙ্গানার খাম্মামে। ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
খাম্মামের পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনা ঘটেছে গত ১৮ সেপ্টেম্বর। সম্প্রতি তা নিয়ে তদন্ত শুরু হওয়ায় ওই খবর প্রকাশ্যে এসেছে। আরও জানা গিয়েছে, সে দিনের ঘটনায় তফসিলি জাতিভুক্ত ওই কিশোরীর শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে যায়। তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু কে বা কারা ভর্তি করেছিল তা এখনও জানা যায়নি। তবে বিপদ কাটিয়ে ওই কিশোরী এখন সুস্থ হয়ে উঠছেন।
পুলিশকে ওই কিশোরী জানিয়েছেন, তাঁকে একটি বাড়িতে এক শয্যাশায়ী ব্যক্তির দেখভালের কাজে নিয়োগ করা হয়েছিল। কিশোরীর দাবি, ১৮ সেপ্টেম্বর নিয়োগকর্তার বছর ২৬-এর ছেলে তাঁর উপর চড়াও হয়। তাঁর পোশাক ছিঁড়ে দেয় এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে। বাধা দিলে কিশোরীর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইন, তথ্যপ্রমাণ লোপাট-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের স্ত্রী গর্ভবতী। ঘটনার সময় তিনি বাবা-মায়ের কাছে ছিলেন। অভিযুক্ত অবশ্য দাবি করেছে, দুর্ঘটনায় ওই কিশোরীর গায়ে আগুন লেগে যায় এবং তিনি পুড়ে যান।
আরও পড়ুন: ‘শিখদের কাছে ঋণী, ’৭৭-এ ঠাকুমাকে রক্ষা করেছিলেন ওঁরাই’
পুলিশ জানিয়েছে, যে বেসরকারি হাসপাতালে কিশোরীকে ভর্তি করা হয়েছিল, তাদের তরফে পুলিশকে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। কেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশের কাছে বিষয়টি চেপে গিয়েছিল তা জানতে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘বিরল এবং ভয়ঙ্কর’, হাথরস কাণ্ড নিয়ে বলল সুপ্রিম কোর্ট