পুলিশ জানিয়েছে, নিজেকে মৃত দেখাতে গিয়ে এক জনকে খুনই করে ফেলেন ওই সরকারি কর্মী। ছবি: প্রতীকী
ধারদেনার পরিমাণ বেড়ে গিয়েছিল। তেলঙ্গানার সচিবালয়ের ওই সরকারি কর্মী স্থির করেন, নিজের জীবনবিমার টাকায় ধার শোধ করবেন। আর তার জন্য করলেন চরম পদক্ষেপ। পুলিশ জানিয়েছে, নিজেকে মৃত দেখাতে গিয়ে এক জনকে খুনই করে ফেলেন তিনি। অবশেষে পুলিশের জালে পথলোথ ধর্মা নামে ওই ব্যক্তি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধর্মা আদতে তেলঙ্গানার মেদক জেলার ভিমলা থান্ডার বাসিন্দা। এখন সপরিবারে হায়দরাবাদের কুকাটপল্লিতে থাকেন। অনলাইনে জুয়া খেলতেন ধর্মা। তাতে প্রচুর টাকা হেরেছিলেন। টাকা মেটাতে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, সেই ঋণ মেটাতে ছক কষেন ধর্মা। জীবনবিমার টাকা থেকে ঋণ মেটানোর জন্য এক জনকে নিজের গাড়িতে বসিয়ে জীবন্ত পুড়িয়ে মারেন। তার পর নিজে পুণেতে পালিয়ে যান।
গত ৯ জানুয়ারি ভেঙ্কটপুরের কাছে একটি পুড়ে যাওয়া গাড়ি দেখতে পায় পুলিশ। ভিতরে ছিল একটি দেহ। ধর্মার স্ত্রী নীলা দাবি করেন, দেহটি তাঁর স্বামীর। পোশাক দেখে তিনি শনাক্ত করেন। এর পর থানায় অভিযোগ করেন নীলা। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছিল, দুর্ঘটনাতেই মৃত্যু হয়েছে ধর্মার। পরে গাড়ির পিছনে একটি পেট্রলের টিন দেখে তাদের সন্দেহ হয়। নতুন করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
তদন্তে নেমে পুলিশ দেখে, দুর্ঘটনাস্থলে বেশ কয়েক বার এসেছেন ধর্মার ভাইপো। এর পর নীলা এবং ধর্মার অন্য আত্মীয়দের ফোন বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। ইতিমধ্যে নীলার ফোনে পুণে থেকে মেসেজ করেন ধর্মা। মেসেজে তাঁর মৃত্যুর শংসাপত্র সংগ্রহ করে বিমাসংস্থার দফতরে জমা করার নির্দেশ দেন। লেখেন, সেখান থেকে যেন সাত কোটি টাকা তুলে এনে ঋণ মিটিয়ে দেন নীলা। তখনই পুলিশের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট হয়। পুণে থেকে ধর্মাকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে জেরা করে জানা যায়, নিজের চালককে গাড়ির ভিতর জীবন্ত পুড়িয়ে দিয়েছিলেন ধর্মা।