তেলঙ্গানায় জুতো-বিতর্কে অমিত শাহ। ফাইল চিত্র।
সেকেন্দরাবাদের উজ্জয়িনী মহাকালী মন্দির থেকে বেরিয়ে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁকে দেখে হাতে করে জুতো এগিয়ে দিচ্ছেন তেলঙ্গানা বিজেপির সভাপতি বন্দিসঞ্জয় কুমার!
এমনই একটি ভিডিয়ো (আনন্দবাজার অনলাইন যার সত্যতা যাচাই করেনি) সোমবার ভাইরাল হওয়ায় তৈরি হয়েছে বিতর্ক। অভিযোগ, ওই দৃশ্য রবিবার সন্ধ্যার। যাতে দেখা গিয়েছে শাহ মন্দিরে ঢোকার সময় তাঁর জুতোজোড়া নির্দিষ্ট স্থানে তুলে রাখছেন সঞ্জয়। শাহ মন্দির থেকে বেরনোর সময় হাতে করে সেই জুতো শাহের পায়ের সামনে নামিয়ে রাখছেন তিনি।
রবিবার প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক কোমাতিরেড্ডি রাজাগোপাল রেড্ডির বিজেপিতে যোগদান উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচিতে যোগ দিতে তেলঙ্গানায় গিয়েছিলেন শাহ। সে সময়ই সেকেন্দরাবাদের ওই মন্দিরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ।
তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস) এবং কংগ্রেস এই সঞ্জয়ের এই আচরণের নিন্দায় সরব হয়েছে। টিআরএস মুখপাত্র এম কষঙ্ক বলেন, ‘‘আমাদের একটাই প্রশ্ন, গুজরাতি নেতার পায়ের জুতোজোড়া হাতে তুলে নেওয়া কি তেলঙ্গানার আত্মমর্যাদার প্রতীক হওয়া উচিত?’’ তেলঙ্গানার দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসির পর্যবেক্ষক মণিকম ঠাকুরের মন্তব্য, ‘‘অমিত শাহের জুতো হাতে তুলে তেলুগু জাত্যভিমানে আঘাত করেছেন সঞ্জয়।’’
রাজতন্ত্র-জমিদারির জমানায় কিংবা ব্রিটিশ আমলে এমনটা আকছার ঘটত। ‘বাবু’ অথবা ‘সাহেব’কে খাজনা আদায়ে, শিকারে বেরোনোর আগে ভৃত্য-আর্দালিরা নাগরা অথবা ‘হান্টিং শ্যু’ পরিয়ে দিতেন। রাজা ও সাহেবদের হাতফেরতা হয়ে সেই সংস্কৃতি কালক্রমে যে গণতন্ত্রেও প্রবেশ করেছ, তেলঙ্গানা তারই প্রমাণ দিল বলে মনে করছেন অনেকেই।