গ্রেফতারি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ তিস্তার। ছবি— পিটিআই।
গুজরাতের জঙ্গি দমন শাখার (এটিএস) হাতে গ্রেফতার হওয়া সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদ তাঁকে মারধরের অভিযোগ তুললেন। দাবি করলেন তাঁকে বেআইনি ভাবে আটক করা হয়েছে। তিস্তাকে পয়লা জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গুজরাতের আমদাবাদে তাঁর বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের হওয়ার পর শনিবার এটিএস তাঁকে মুম্বইয়ের জুহুর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। রবিবার তাঁকে আমদাবাদের আদালতে পেশ করা হয়। সেখানেই তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন। তিনি আদালতে বলেন, ‘‘এটিএসের আধিকারিকরা কোনও পরোয়ানা ছাড়াই আমার বাড়িতে ঢুকে পড়েন। তাঁরা আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে ফোনটি ছিনিয়ে নেন। একটি এফআইআরের ভিত্তিতে গ্রেফতার কি আইন সঙ্গত? আমাকে কেন নোটিস দেওয়া হল না? দুপুর ৩টে থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আমাকে বেআইনি ভাবে আটকে রাখা হল কেন?’’
গুলবার্গ সোসাইটি হত্যাকাণ্ডে নিহত কংগ্রেস সাংসদ এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া এবং সমাজকর্মী তিস্তা যৌথ ভাবে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। যে মামলার মূল কথা ছিল, ২০০২-এর গুজরাত দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদীকে দেওয়া ক্লিনচিট খারিজ করুক আদালত। শুক্রবারই সুপ্রিম কোর্ট সেই আবেদনকে ভিত্তিহীন বলে খারিজ করে দেয়। পাশাপাশি তিস্তার ভূমিকারও সমালোচনা করে। ঘটনাচক্রে, শনিবারই তিস্তার বিরুদ্ধে আমদাবাদের থানায় এফআইআর দায়ের হয়। শনিবারই গুজরাতের এটিএস মুম্বই এসে গ্রেফতার করে তিস্তাকে। রবিবার তাঁকে হাজির করানো হয় মুখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘আমাকে আটক করা এবং গ্রেফতার করা বেআইনি। আমি প্রাণের ভয় পাচ্ছি। আমাকে শারীরিক হেনস্থা করা হয়েছে। আমাকে মারধর করা হয়েছে। আমি এক জন মানবাধিকার কর্মী। এটা সম্পূর্ণ ভাবে রাজনৈতিক মামলা। আমি এতে সহায়তা করছি।’’ তিনি আদালতের কাছে জামিনেরও আবেদন করেন।
প্রসঙ্গত, শনিবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একটি সাক্ষাৎকারে তিস্তার বিরুদ্ধে ২০০২ গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে পুলিশের কাছে ভিত্তিহীন তথ্য দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।