জয়ের পরই কর্মীদের সঙ্গে উচ্ছ্বাসে মাতলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। ছবি: পিটিআই।
ত্রিপুরার চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে দেখা গেল গেরুয়া ঝড়। চারটি আসনের তিনটিতেই জিতল বিজেপি। একটি আসনে জিতে দু’নম্বরে থাকল কংগ্রেস। বস্তুত, বামফ্রন্টের চেয়েও ভাল ফল করেছে হাত শিবির। তবে সবচেয়ে খারাপ ফল হয়েছে তৃণমূলের। ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করা ঘাসফুলের সব আসনেই জামানত জব্দ হয়েছে।
রবিবারের ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, প্রথম বার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই জয়ী হয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। বড়দোয়ালি কেন্দ্রে থেকে মানিক পেলেন ১৭,১৮১টি ভোট। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের দু’বারের বিধায়ক আশিস সাহা পান ১১,০৭৭টি ভোট। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী সংহিতা ভট্টাচার্য পেয়েছেন মাত্র ৯৮৬টি ভোট। সেই আসনে বাম প্রার্থী পেয়েছেন ৩,৩৭৬টি ভোট।
গত মাসে বিপ্লব দেবের আচমকা ইস্তফার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ত্রিপুরার নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাজ্যসভার সাংসদ মানিক সাহার নাম ঘোষণা করে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী কুর্সিতে থাকতে হলে তাঁকে উপনির্বাচনে জিততে হত। এক সময়ের কংগ্রেস নেতা মানিক বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ২০১৬ সালে। পেশায় দন্ত চিকিৎসক ২০২০ সালে ত্রিপুরা বিজেপির রাজ্য সভাপতিও হন।
আগরতলা কেন্দ্রে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর শেষ হাসি হাসেন বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে ফেরা সুদীপ রায়বর্মণ। বিপ্লব দেবের মন্ত্রিসভার প্রাক্তন মন্ত্রী সুদীপ পান ১৭,৪৩১টি ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির অশোক সিংহ পান ১৫,২৬৮টি ভোট। বাম প্রার্থী কৃষ্ণা মজুমদার ৬,৮০৮টি এবং তৃণমূলের প্রণব দেব পান ৮৪২টি ভোট।
যুবরাজনগর কেন্দ্রেও পদ্ম ফুটেছে। বিজেপি প্রার্থী মলিনা দেবনাথ পান ১৮,৭৬৯টি ভোট। এই একটি কেন্দ্রেই দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে বামেরা। সিপিএম প্রার্থী শৈলেন্দ্রচন্দ্র নাথ পান ১৪,১৯৭টি ভোট। কংগ্রেসে ঝুলিতে মোটে ১,৪৪০টি ভোট এবং তৃণমূল পেয়েছে মাত্র ১,০৮০টি ভোট।
ভোটের আগে উত্তপ্ত হয়েছিল সুরমা। তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে সেখানে। ওই কেন্দ্রেও জিতেছে বিজেপি। বাম এবং নির্দলকে হারিয়ে জয় হাসিল করেছেন বিজেপি প্রার্থী স্বপ্না দাস (পাল)। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১৬,৬৭৭। কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল প্রার্থী পেয়েছেন ১২,০৯৪টি ভোট। সিপিএমের ভোটপ্রাপ্তির সংখ্যা ৮,৪১৫ এবং তৃণমূল পেয়েছে ১,৩৪১টি ভোট।