— প্রতীকী ছবি।
প্রতিবেশীর কুকুর কামড়েছিল ১৪ বছরের স্কুলপড়ুয়াকে। কিন্তু বাড়িতে ধমকের ভয়ে মা-বাবার কাছে কুকুরের কামড়ের কথা গোপন করে গিয়েছিল সে। মাসখানেক পর জলাতঙ্কে মৃত্যু হল তার। ঘটনাটি ঘটেছে গাজ়িয়াবাদে।
গাজ়িয়াবাদের বিজয় নগর থানার চরণ সিংহ কলোনিতে মা-বাবার সঙ্গে থাকত অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া ১৪ বছরের শাহভাজ়। মাসখানেক আগে প্রতিবেশীর কুকুর তাকে কামড়ে দেয়। কিন্তু বকুনির ভয়ে বাড়িতে কিছুই জানায়নি শাহভাজ়। কিন্তু কুকুরের দাঁতের বিষ খেলা দেখাতে শুরু করে কয়েক দিন আগে। ১ সেপ্টেম্বর শাহভাজ়ের মধ্যে অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ করেন অভিভাবকেরা। ছেলের খাওয়াদাওয়া একেবারে কমে যাওয়া নিয়েও চিন্তায় পড়ে যান তাঁরা। তার পর মা-বাবা চাপ দিতেই শাহভাজ় কবুল করে, তাকে প্রতিবেশীর কুকুর কামড়ে দিয়েছিল। কিন্তু বকুনির ভয়ে সে কিছুই জানায়নি বাড়িতে।
দ্রুত শাহভাজ়কে দিল্লির একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে তাকে ভর্তি করানো হয়নি। স্থানীয় সূত্রের খবর, শাহভাজ়কে বুলন্দশহরে এক জন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ক্রমশ শাহভাজ়ের অবস্থার অবনতি হতে থাকে। মঙ্গলবার তাকে অ্যাম্বুল্যান্সে গাজ়িয়াবাদ ফিরিয়ে আনার সময় পথেই মৃত্যু হয় তার।
শাহভাজ়ের মৃত্যুর পর পুলিশে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কোতয়ালি জ়োনের এসিপি নিমিশ পটেল জানিয়েছেন, কুকুরের মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু কেন সরকারি হাসপাতালে ছেলের চিকিৎসা না করিয়ে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের উপর ভরসা করা হল, তা এখনও পরিষ্কার নয়। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, সঠিক সময়ে যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা হলে শাহভাজ়কে অকালে চলে যেতে হত না।