গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
লোকসভা ভোটের প্রচারে ধারাবাহিক ভাবে কংগ্রেস-সহ ‘ইন্ডিয়া’র শরিক দলগুলির বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তুলে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তাঁর নতুন মন্ত্রিসভাতেই এ বার দেখা যেতে পারে পরিবারতন্ত্রের ছায়া। ‘সৌজন্যে’ চন্দ্রবাবু নায়ডুর তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)।
টিডিপি নেতা জয়দেব গল্লা রবিবার জানিয়েছেন, মোদীর মন্ত্রিসভায় তাঁদের দলের তরফে দুই যুবনেতা— শ্রীকাকুলমের সাংসদ কিঞ্জারাপু রামমোহন নায়ডু এবং গুন্টুরের সাংসদ চন্দ্রশেখর পেম্মাসানি শপথ নেবেন। দলের তরফে ওই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে রামমোহন এবং চন্দ্রশেখরকে এক্স হ্যান্ডলে অভিনন্দন জানিয়েছেন জয়দেব।
রামমোহনের বাবা প্রয়াত ইরারান নায়ডু ছিলেন টিডিপির প্রতিষ্ঠাতা এনটি রাম রাওয়ের ঘনিষ্ঠ নেতা। নব্বইয়ের দশকে প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়া এবং ইন্দ্রকুমার গুজরালের নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত মোর্চা সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। অন্য দিকে, চন্দ্রশেখরের বাবা পি সম্ভাশিব রাও ছিলেন টিডিপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। গুন্টুরে দলের পরিচিত মুখ ছিলেন তিনি। পেশায় চিকিৎসক চন্দ্রশেখর নব্বইয়ের দশকে তাঁর বাবার প্রভাবেই সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, ওই দুই যুবনেতা ছাড়াও মোদী মন্ত্রিসভায় টিডিপির সম্ভাব্য প্রতিনিধি হিসাবে হরিশ বালাযোগী এবং ডাগ্গুমাল্লা প্রসাদের নামও আলোচনায় ছিল। লোকসভা ভোটের পাশাপাশি এ বার অন্ধ্রপ্রদেশে বিধানসভা ভোটেও বিপুল জয় পেয়েছে টিডিপি-বিজেপি-জনসেনা পার্টির জোট। লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছেন টিডিপির ১৬ জন সাংসদ। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে অন্ধ্রে ভোটের আগে বিজেপির জোটসঙ্গী চন্দ্রবাবু ঘোষণা করেছিলেন, সে রাজ্যে ক্ষমতায় এলে মুসলিমের জন্য চার শতাংশ সংরক্ষণ করবেন তিনি। যদিও ভোটপ্রচারে আগাগোড়া মোদী অভিযোগ করেছিলেন, তফসিলি জাতি-জনজাতি এবং ওবিসিদের কোটা কাটছাঁট করে মুসলিমদের সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে চাইছে ‘ইন্ডিয়া’।