থানায় আটকে রেখে শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। —প্রতীকী চিত্র।
সাসপেনশনে রয়েছেন। তার মধ্যে আবার মামলায় জড়ালেন গুজরাতের রাজকোট শহর পুলিশের এক ইন্সপেক্টর। তাঁর সঙ্গে এক প্রাক্তন সাবইনস্পেক্টরের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এক ব্যবসায়ীকে অবৈধ ভাবে আটকে রেখে তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতন করেছেন তাঁরা। এমনকি, তাঁর সম্পত্তির দলিল আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে।
মহাসেনা জেলার বাসিন্দা মহেশ পটেল নামে এক ব্যবসায়ীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রদ্যুমাননগর থানায় এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দায়ের হওয়া ওই অভিযোগে রয়েছে সাসপেনশনে থাকা পুলিশ অফিসার-সহ একাধিক ব্যক্তির নাম। ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে ইচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত করা, থানায় আটকে রেখে জোর খাটানো, সরকারি প্রতিনিধি হয়ে অনৈতিক ভাবে প্রভাব খাটানো-সহ একাধিক অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
পুলিশকে ওই ব্যবসায়ী জানিয়েছেন ইনস্পেক্টর এবং আরও কয়েক জন যাঁরা অপরাধ দমন শাখায় গোয়েন্দা হিসাবে যুক্ত তাঁরা গত ২১ জানুয়ারি তাঁকে উনঝা থেকে রাজকোটে নিয়ে যান। তাঁকে বলা হয় ৩০ একর জমি সংক্রান্ত একটি বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাঁকে একটি গাড়ি করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর তাঁকে মানসিক ভাবে হেনস্থা করা হয়। অবৈধ ভাবে আটকে রাখা হয়। পরের দিন গোয়েন্দা বাহিনীর অফিসার তাঁকে লাথি-ঘুষি মারেন। লাঠি দিয়েও মারা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর আসল দলিল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এর পর ওই সাসপেন্ড হওয়া পুলিশ অফিসার আবার তাঁকে একটি জায়গায় নিয়ে গিয়ে মারধর করেন।