দোকান থেকে মদ বিক্রি করা হচ্ছে এক ক্রেতাকে। —ফাইল চিত্র।
মদ কিনতে গেলে কি আগামী দিনে আরও কড়া ভাবে যাচাই করা হবে ক্রেতার বয়স? মদ বিক্রির আগে ক্রেতার বয়স প্রতিটি ক্ষেত্রে যাতে বাধ্যতামূলক ভাবে যাচাই করা হয়, তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। মামলাটি গ্রহণ করেছে শীর্ষ আদালত। সোমবার ওই মামলায় কেন্দ্র, প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বক্তব্য জানতে চেয়েছে বিচারপতি বিআর গভই এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ।
এ দেশে মদ কেনার ক্ষেত্রে ন্যূনতম বয়সসীমা অনেক আগে থেকেই স্থির করা রয়েছে। ১৮ বছরের কম বয়সিদের কাছে মদ বিক্রি করা যায় না। কিন্তু মামলাকারী সংগঠনের অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রেই নিয়মের তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। বয়সসীমার নীচের কিশোরেরাও এখন কোনও বাধা ছাড়াই মদ কিনতে পারছে বলে অভিযোগ মামলাকারীর। এই নিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় ওই সংগঠন।
সংগঠনের তরফে আইনজীবী পিবি সুরেশ জানান, মদ কেনার ন্যূনতম বয়সসীমা যে দেশে যত বেশি, সেখানে অপরাধের হার তত কম। যদিও সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, নাবালকদের মদ্যপান ঠেকানোর ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু করার নেই। কারণ সরাসরি মদের দোকানে যেতে না পারলে তারা কোনও প্রাপ্তবয়স্ক বন্ধু কিংবা বাড়ির পরিচারককে দিয়ে মদ কেনাতে পারে।
বিচারপতি গভই বলেন, “এতে আমরা কী করতে পারি? মদের দোকানে না গিয়ে তারা বাড়ির পরিচারকদের মদ কিনতে পাঠাতেই পারে।” তবে মামলাকারীর আইনজীবী আদালতে অনুরোধ করেন যাতে বর্তমানে বিধিকে আরও কড়া ভাবে প্রয়োগ করা হয়। মামলাকারীর আর্জি, মদ বিক্রির প্রতিটি জায়গায় ক্রেতার বয়স বাধ্যতামূলক ভাবে যাচাই করতে একটি কড়া নীতি গ্রহণ করা হোক। দেশের বিভিন্ন জায়গায় মদের দোকান, পানশালা বা রেস্তরাঁয় মদ বিক্রির ক্ষেত্রে বয়স যাচাইয়ের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই বলেই দাবি মামলাকারীর। তা শুনে শীর্ষ আদালত কেন্দ্র, সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের থেকে বক্তব্য জানতে চেয়েছে।