দীপাবলির মরসুমে বাজি ফাটানোর দৃশ্য। —ফাইল চিত্র।
দিল্লির দূষণ মামলায় বাজি ফাটানো বন্ধ করাকে কেন্দ্র করে পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের মতে, দীপাবলিতে বাজি ফাটানো নিষিদ্ধ করা চোখে ধুলো দেওয়ার মতো। শুধু দীপাবলির সময়েই নয়, বাজি ফাটানোর উপর কড়াকড়ি সারা বছর ধরেই থাকা দরকার বলে মনে করছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট চাইছে, রাজধানী দিল্লিতে বাজি কেনাবেচা বন্ধ করতে দিল্লি পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ করুক।
সোমবার বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহ্রের বেঞ্চে মামলাটির শুনানি ছিল। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, দূষণমুক্ত পরিবেশে বাঁচার অধিকার সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রত্যেক মানুষের মৌলিক অধিকারের অন্তর্গত। কোনও ধর্মই এমন কোনও কাজের কথা বলে না, যাতে দূষণ ছড়ায়। এই ভাবে বাজি ফাটতে থাকলে সেই মৌলিক অধিকারের উপর প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে শীর্ষ আদালত।
বাজি ফাটানোর উপর চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করার বিষয়টিও দিল্লির সরকারকে বিবেচনা করার জন্য বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী ২৫ নভেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে আদালত। সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ এ দিন প্রশ্ন করে, “কেন শুধুমাত্র অক্টোবর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্তই বাজি তৈরি, কেনাবেচা এবং ফাটানোর উপর এই কড়াকড়ি? সারা বছর কেন কড়াকড়ি নেই? দূষণ তো সারা বছর ধরেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।”
অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি তখন জানান, উৎসবের মরসুমে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কারণ এই সময়েই দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। যদিও তাতে বিশেষ সন্তুষ্ট হয়নি শীর্ষ আদালত এবং প্রয়োজনে সারা বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারির প্রস্তাব দিয়েছেন বিচারপতিরা।